ইরানে মাহসা আমিনির মৃত্যুর পরে সারা দেশে তীব্র প্রতিবাদ হচ্ছে। সে দেশের মহিলারা প্রকাশ্যে 🦩তাঁদের হিজাব খুলে ফেলছেন এবং সেগুলি পুড়িয়ে দিচ্ছেন। তাঁদের উপরেও চলছে অকথ্য অত্যাচার। সারা পৃথিবী থেকে অনেকেই ইরানের মহিলাদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। সেই তালিকায় এবার ♏ঢুকে পড়লে প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রিয়াঙ্কা ইরানের মহিলাদের প্রতি তাঁর সমর্থনের কথা জানালেন। তার সঙ্গে জানালেন, স🐟ে দেশের মহিলাদের সাহস তাঁকে বিস্মিত করেছে। তিনি হতবাক হয়ে গিয়েছেন, কীভাবে তাঁরা রাস্তায় নেমে এত অত্যাচারের মুখে প্রতিবাদ করছেন, তা দেখে। প্রিয়াঙ্কার ভাষায়, ‘দীর্ঘ দিন ধরে জোর চেপে রাখা হয়েছিল যে গলার স্বর, তা এখন কথা বলতে শুরু করেছে’।
শুধু তালই নয়, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া মহিলাদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, এই প্রতিবাদে সামিল হওয়ার। তাঁর মতে, সংখ্যা একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। প﷽্রতিবাদীদের সংখ্যা যত বাড়বে, তত বাড়বে প্রতিবাদের শক্তি।
ইরানের ‘নীতি পুলিশ’ আমিনিকে গ্রেফতার করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ‘ভুল প্রথায়’ হিজাব পরেছেন, তিনি তাঁর চুল পুরোপুরি ঢাকেননি। তেহরানে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। কয়েক দিন পরেই তাঁ মৃত্যু খবর আসে। অভিযোগ, তাঁকে মারধর করা হয়েছিল। তেমনই দাবি ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পুলিশ সেই দাবি অস্বীকার করে। 𝓡পুলিশের তরফে সাফাই দেওয়া হয়, অন্য বন্দিদের সঙ্গে আটক থাকার সময়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
এর পর থেকেই ইরানে জ্বলছে আগুন। মহিলারা প্রতিবাদে রাস্তায় নামছেন। কেটে ফেলছেন চুল। পুড়িয়ে ফলছেন হিজাব। ব♕িক্ষোভকারীরা সরকার বিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন। এর ফলে প্রতিবাদীদের উপর চলছে নির্মম অত্যাচার। প্রকাশ্যে বহু মহিলাকে হত্যা করা হয়েছে। যে সব পুরুষরা প্রতিবাদের পক্ষে বাদ যাচ্ছেন না তাঁরাও। চলছে কাঁদানে গ্যাস, মারধোর, হত্যা।
এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইরানের এক স্কুলের দু’টি ভিডিয়ো বেশ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। একটিতে দেখা গিয়েছে, স্কুলের এক ছাত্রীকে। তিনি দেওয়ালে ঝুলিয়ে রাখা একটি ছবি উলটো দিকে ঘুরিয়ে ঝুলিয়ে দিচ্ছেন। এবং ছবিটির পিছন দেখা কিছু লেখা রয়েছে, ছবিটি ঘুরিয়ে দেওয়ার ফলে তা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। ছবির উলটো দিকে যা লেখা, বাংলায় সেই লেখার তর্যমা করলে দাঁড়ায়, ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’। আর এটিই বিরাট পরিমাণে 🐈ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
অন্য ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, স্কুলের ছাত্রীরা তাঁদের হিজাব খুলে ফেলছেন এবং ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছেন। ইরানের স্কুলে মেয়েদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। হিজাব খুলে ফেলার শাস্তি মারাত্মক। কিন্তু সেই সব ভয়ডরকে পাত্তা না দিয়ে তাঁরা খুলে ফেলছেন হিজাব। আর চিৎকার করে যা বলছেন, তার অর্থ, ‘স্বৈরাচারীর মৃত্যু হোক’। তাঁ🦩রা হোল্লাহ খোমেইনি এবং আলি খামেনেইয়ের ছবি ছিঁড়ে ফেলছেন এবং পা দিয়ে মারিয়ে যাচ্ছেন। এই ভিডিয়োটিও বিরাট ভাইরাল হয়ে গিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়া।