লোকসভা নির্বাচনে ২৯টি আসন পেয়েছে শাসক দল। তৃণমূলের এই সাফল্যে নতুন করে উজ্জীবিত কর্মীরা। ৪২-এর মধ্যে সেখানে এক্সিট পোলে তৃণমূলকে ২০টি আসনও দেয়নি অনেকে, সেখানে সব হিসাব উলটে '১৯-এর চেয়ে আরও ৭জন সাংসদ বেশি পেল তৃণমূল। দলের এই জয়ের সেলিব্রেশনেই জমাইষষ্ঠীর দিন অভিনব আয়োজন বিধায়ক মদন মিত্রের। আরও পড়ুন-‘বিয়ে নিয়ে জ্ঞান🍷 দেওয়ার জন্য আমি সঠিক লোক নই’, দু'বার ভাঙা সংসার, সাবধানী অনুপম!
৬২ পল্লি পুজো প্রাঙ্গণে বুধবার স্পেশ্যাল ২৯ জোড়া মেয়ে-জামাই বরণ করে নিলেন তৃণমূলের ‘কালারফুল বয়’। শ্বশুরের মতো মেয়ে-জামাইয়ের আদর-আপ্য়ায়ন করলেন, ছিল ভুরিভোজের ভরপুর আয়োজন। মদনদার এই উদ্যোগে সঙ্গী হলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর্থিক কারণে আলাদা করে জামাইষষ্ঠী পালনের সমর্থ্য 🔯নেই যে সব দুঃস্থ পরিবারের তাঁদের নিয়েই চলল সেলি༒ব্রেশন। বাজল সানাই, হল নাচাগানাও।
অনুষ্ঠানে সাদা ধুতি-পাঞ্জাবিতে মদন মিত্র, আর লাল পেড়ে নীল শাড়িতে ঝলমলে ‘শাশুড়িমা’ রচনা। এদিন প্রধানমন্ত্রীকে তোপ দাগতে ছাড়লেন না মদন মিত্র। তিনি বলেন, ‘ওদের আশীর্বাদ করতে আমি আর রচনা এসেছি। আমরাই আসলে শ্বশুর-শাশুড়ির ভূমিকায় রয়েছি। ২৯ জন দম্পতিকে ডাকা হয়েছে। আমরা ২৯ আসলে জিতেছি। সে জন্যই ২৯ দম্পতিকে ডাকা হয়েছে। যাঁদের পরিবারের অবস্থা খুবই খারাপ, যাঁরা এই উৎসবে সামিল হতে পারে না। আমরা আজ তাঁদেরই ড♏েকেছি। আমরা বলছি আয় মোদী দেখে যা বাংলার সংস্কৃতি কাকে বলে। এই বার্তাই ওনাকে দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন-লগ্নভ্রষ্টা বর! মায়ের সম্মান বাঁচাতে আশ্🍎রিতা ময়নাকে বিয়ে গৌরবের, আসছে পুবের ময়না
জামাইষষ্ঠী বলে কথা! খাওয়া-দাওয়ার এলাহি আয়োজন থাকাটাই স্বাভাবিক। মেনুতে ছিল, ইলিশ থেকে চিংড়ি মাছ,পোলাও, মাংস, দই থেকে নানারকমের মিষ্টি। এদিন নিজের হাতে খাবার পরিবেশন করতে দেখা যায় রচনা🐼কে। হুগলির নবনির্বাচিত সাংসদ মদনদার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। রচনা বলেন,'যাঁরা আজ জামাই ষষ্ঠীতে সামিল হলেন তাঁদের কারও শাশুড়ি নেই। মদনদাই মূল উদ্যোক্তা। উনি এ ধরনের নানা মজার মজার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সে জন্যই তিনি এত জনপ্রিয়। আমাকে ডাকলে আমি আসার চেষ্টা করি। আজ উনি আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমি 𒐪এসেছি।' বাংলার দিদি নম্বর ১-এর উপস্থিতি গ্ল্যামার কোশেন্ট বাড়িয়ে দিল এদিনের অনুষ্ঠানের। নিজের হাতে জামাইয়ের প্রিয় পত্নীদের হাতে শাড়ি তুলে দিলেন রচনা।