টলিপাড়ায় কান পাতলেই এখন ভাঙনের খবর। দিনকয়েক আগেই ডিভোর্সের ঘোষণা করেছেন নবনীতা দাস আর জিতু কমল। সেই নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা লেগেই আছে এখনও। একসময়ের ‘পারফেক্ট জুটি’র ভাঙনের খবর বিশ্বাস করতে পারছেন না𓆉 অনেকেই। তবে এরই মাঝে লোকের কপালে ভাঁজ ফেলল অভিনেতা রাজা গোস্বামীর সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্ট। যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘১১ বছরের সম্পর্কের ইতি!’
প্রসঙ্গত, রাজা গোস্বামী আর নবনীতা দাস এখন কাজ করছেন একে-অপরের বিপরীতে ‘বিয়ের ফুল’ ধারাবাহিকে। নবনীতার পর তাহলে কি এবার রাজার সংসারে ভা🐲ঙন ধরল। ফেসবুক পোস্ট দেখে হইচই শুরু করে দেন রাজা-মধুবনীর ভক্ত💟রা।
দীর্ঘ ১১ বছরের সম্পর্ক রাজা-মধুবনীর। ভালোবাসা ডট কমের সেটে শুরু হয়েছিল প্রেম। এরপর ২০১৬ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন। ২০২১ সালের এপ্রিলে মা হয়েছেন অভিনেত্রী। জন্ম হয় তাঁদের প্রথম সন্তান কেশবের। রাজা পুরোদমে কাজ করে চললেওꦛ, নিজেকে ক্যামেরার সামনে থেকে খানিকটা সরিয়েই ন🍬িয়েছেন মধুবনী।
তবে ক্যাপশন দেখে যতই ‘হার্ট অ্যাটাক’ আসুক না কেন, ভিডিয়োতে চোখ রাখলেই কিন্তু স্পষ্ট হবে গোটা বিষয়টা। মোটেও বিচ্ছেদ হচ্ছে না রাজা-মধুবনীর। রাজা প্রায় এক দশক আগে নিসানের একটি গাড়ি কিনেছিলেন। এবার সেটিকে ত্যাগ করে নতুন গাড়ি কিনছেন অভিনেতা। সেই নিয়েই ছিল তাঁর এই পোস্ট। আগের গাড়িটির সঙ্গে তাঁদের অনেক নস্টালজিয়া জড়িয়ে আছে। আর তার সবটাই রাজা উজার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ১১ বছরের দীর্ঘ সঙ্গীকে এবার বিদায় জাꦚনানোর পালা।
রাজার পোস্টের কমেꦚন্ট সেকশনে একজন মন্তব্য করলেন, ‘অনেকের তো হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতে পারে ক্যাপশন দেখে। আমি নিজেই ভয় পেয়ে গেছি।’ আরেকজন লিখলেন, ‘আমি তো মনে করছি অন্য কিছু। এইরকম ক্যাপশন কেউ দেয়।’ তৃতীয়জনের বক্তব্য, ‘প্রথমে চমকে উঠেছিলাম। ভালোবাসার উপর থেকেই বিশ্বাস উঠে যেতে বসেছিল। তোমরা একসঙ্গে ভালো থেকো প্লিজ।’
রাজাকে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলতে শোনা যায়, ‘‘শ্যুট শেষ হওয়ার পর তাঁর মনটা বাড়ি পালাই পালাই করে। কখন বাড়ি গিয়ে কেশবের সঙ্গ💜ে খেলব! বাড়ি থেকে বউ বা মা ফোন করলেও সবার আগে প্রশ্ন করেন, ‘কেশব কী করছে?’
সঙ্গে জানান, তিনিও চান মধুবনীও তাড়াতাড়ি কা♕জে ফিরুক। আর ছেলে কেশব একটু বড় হলে নিজেই জোর করে কাজে পꦡাঠাবেন বউকে সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এত ভালো অভিনেত্রী ক্যামেরা থেকে দূরে থাকুক চান না তিনিও। যদিও বাড়িতে মোটেও বসে নেই মধুবনী। নিজের স্যালোঁ চালান, নিয়মিত ভ্লগিং করেন ইউটিউবেও।