২০০৯ সালে স্টার জলসার ধারাবাহিক ‘ধন্যিমেয়ে’ দিয়ে অভিনয় জগতে পথচলা শুরু করেন রণিতা দাস। তবে দর্শকদের কাছে তিনি ‘বাহামণি’ নামেই বেশি পরিচিত। তবে এই নামের নেপথ্যে রয়েছে স্টার জলসার আরো এক ধারাবাহিক ‘ইষ্টিকুটুম’। এই ধারাবাহিকে অভিনয় করার পর থেকেই অভিনেত্রীকে ‘বাহামণি’ বলেই সকলে চেনে। বর্তমানে যদিও রণিতাকে অভিনয় করতে দেখা যায়না। নেপথ্যে কারণ কী? চলতি বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূলে যোগদান করেন অভিনেত্রী, তাঁর দীর্ঘদিনের বয়ফ্রেন্ড সৌপ্তিক। জানা যায়, ‘ইষ্টিকুটুম’ ধারাবাহিকের পর পড়াশোনার জন্য বেশ কিছু বছর অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন তিনি। এরপর ২০১৫ সালে কালার্স বাংলার রিয়ালিটি শো 'মায়ের সুপার কিড’ সঞ্চালনা করেছেন। ২০১৬ সালে কালার্স বাংলার ধারাবাহিক ‘সোহাগি সিঁদুর’এ অভিনয় করেছেন তিনি। ২০১৮ সালে ‘আনঅ্যাফ্রেড সিজিন ২’ ওয়েব সিরিজকে শেষবার পর্দায় দেখা গেছে তাঁকে। এরপর পর্দায় দেখা মেলেনি রণিতার। ইন্ডাস্ট্রি মারফত খবর, ‘ইষ্টিকুটুম’ ধারাবাহিক নিজেই ছেড়ে ছিলেন অভিনেত্রী। কারণ হিসাবে জানিয়েছিলেন, সেই সময় তাঁর চরিত্র নিয়ে নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছিল। সেই কারণে অনেকটা বাধ্য হয়েই চরিত্র থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন তিনি। একইসময় তাঁর বয়ফ্রেন্ড সৌপ্তিক চক্রবর্তিও অভিনয়কে বিদায় জানান। স্টার জলসার আরও এক জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘জলনূপুর’এর মুখ্য চরিত্রে ছিলেন সৌপ্তিক। রণিতার ‘ইষ্টিকুটুম’ ছাড়ার এক সপ্তাহ বাদেই ‘জলনূপুর’ ছাড়েন সৌপ্তিক। এরপরই ইন্ডাস্ট্রিতে গুঞ্জন শোনা যায়, এই জুটি একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়ে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তবে ২০১৮ সালে রণিতা এবং সৌপ্তিককে ফের একবার কালার্স বংলায় 'মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্য়' ধারাবাহিকে একসঙ্গে শিব-পার্বতীর ভূমিকায় দেখা যায়।তবে রণিতার কথায়, নিজের শারীরিক সমস্যার কারণে অভিনয় ছেড়েছেন তিনি। মেরুদণ্ডে ব্যথা, ওভারিতে সমস্যা রয়েছে তাঁর। এই ধরণের সমস্যা নিয়ে তাঁর পক্ষে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শ্যুটিং করা সম্ভব নয়। তাই তিনি দূরে সরে এসেছেন। গত ৯ই মে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে সপরিবারে করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। আপাতত তাঁরা সকলে করোনা মুক্ত। বাড়িতে লকডাউনে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন বাহা।