২০২০ সালের ১৪ই জুন সারা দেশ চমকে উঠেছিল। ‘আত্মহত্যা করেছেন সুশান্ত সিং রাজপুত’, এই খবর নাড়িয়ে দিয়েছিল আসমুদ্রহিমাচলকে। সুশান্তের মৃত্যু আজও রহস্য। নায়কের মৃত্যুর পর কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে। জুটেছꦓিল ডাইনি অপবাদ। অভিনেতার বিতর্কিত মৃত্যুর রেশ আজও রয়ে গিয়েছে।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু সংক্রান্ত মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন রিয়া। প্রায় দেড় মাস বাইকুল্লা জেলেও কাটিয়েছেন। শুধু রিয়া নয়, এই মামলায় হাজতবাস হয়েছিল রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তীরও। জানেনি সুশা🍒ন্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত রিয়া, জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার দিন চুটিয়ে নাগিন ডান্স করেছিলেন। সে-কথা নিজের মুখেই জানালেন ‘জলেবি’ অভিনেত্রী।
রিয়ার ফিল্মি কেরিয়ার কোনওদিনই সেভাবে সাড়া ফেলেনি। কিন্তু সুশান্তের মৃত্যুর পর মাস কয়েক প্রত্যেক নিউজ চ্যানেল আর সংবাদপত্রের লিড স্টোরি ছিলেন রিয়া। বাইকুল্লা জেলে কাটানো সেই দিনগুলোর স্মৃতিচারণা করে ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে রিয়া বলেন, ‘সেখানে আপনি শুধুই একটা নম্বর। আপনাকে যা বলা হবে আপনি সেটাই করতে বাধ্য। যখন খেতে দেওয়া হবে, তখন খাবেন। তখন দাঁড়াতে বলা হবে, আপনি দাঁড়াবেন….’। র𝕴িয়া বলেন, ‘হঠাৎ করে আকাশ থেকে পড়ে আপনি যেন কোন অজানায় হারিয়ে গিয়েছেন, চারিদিক অন্ধকার’।
অভিনেত্রীর কথায়, 'আমি ওই জেলে আসলে বিচারাধীন আসামী ছিলাম, অভিযুক্ত নয়। আর যত ক্ষণ পর্যন্ত তুমি দোষী প্রমাণিত না হচ্ছ, তার মানে তুমি নির্দোষ।’ র♌িয়ার কথায় তাঁর মামলা ঘিরে যে আলোচনা হয়েছিল তার পুরোটাই যে রিয়ার বিপক্ষে গিয়েছে তা নয়। রিয়া মনে করেন, তিনি তাঁর পরিবারের তরফে যে সমর্থন পেয়েছেন তা ওই জেলেবন্দি অনেকে বিচারাধীন আসামীর কপালে জোটেনি। মিডিয়ার লাইমলাইট থেকে দূরে সেইসব কাহানি কেউ জানেতও পারেনি। ওখানে অনেক মহিলা রয়েছন, যাদের রিয়ার চেয়েও খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।
জেলের ভিতর অল্প কয়েকদিনেই বন্ধু পাতিয়েছিলেন রিয়া। ওই কঠিন সময়ে কী শিখেছেন রিয়া? ‘জীবনে খুব অল্প সময়ই খুশি আসে, সেটা মন খুলে বাঁচতে হয়। এটা আমি জেলে শিখেছি’, অকপট স্বীকারোক্তি তাঁর। সঙ্গে জানান, যে দিন জামিন পান, সহ-বন্দিনীদের জন্য ‘নাগিন ডান্স’ করেছিলেন। রিয়া বলেন, ‘আমি আসলে ওঁদের কথা দিয়েছিল🍰াম, যে দিন জামিন পাব সে দিন আমি ওঁদের সঙ্গে নাচব। জামিন পাওয়ার পর মনে হচ্ছিল আমি আজ চলে যাচ্ছি। আর কোনও দিনই এই মুখগুলো দেখতে পাব না। আমি যদি ওদের পাঁচ মিনিটের আনন্দ দিতে পারি, তাতে ক্ষতি কি!’ সেটা তাঁর জীবনের অন্যতম আনন্দঘন দিন ছিল বলে জানান রিয়া।
পাশাপাশি ডাইনি অপবাদ নিয়েও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন রিয়া। তিনি জানান, 'চুড়েল নামটি আমার বেশ পছন্দের। চুড়েল' (ডাইনি) এটা ভীষণই ইন্টারেস্টিং নাম। সেদিন কে ডাইনি ছিল? ডাইনি এমন একজন মহিলাকে বলা হয়েছিল যিনি কখনও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের সদস্য হননি। আমার নিজস্ব মতামত পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে ছিল। হয়তো আমি সেই মানুষ, হয়তো আমি চুড়েল। হয়তো আমি জানি কীভাবে কালো জাদু করতে হয়'। রিয়ার এই মাদক-মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন। অন্যদিকে সিবিআই এখনও সুশান্তের মৃত্যু মা🔯মলার চার্জশিট পেশ করেনি।
আজও সুশান্তকে ভুলতে পারেননি রিয়া। সবসময় তাঁকে ম✤িস♕ করেন, জানান বাঙালি অভিনেত্রী।