আরজি কর আবহে বিগত কয়েকমাসඣ ধরে কম সমালোচনার মুখে পড়েননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, তারকারাও কখনো নাম নিয়ে, আবার কখনো নাম উল্লেখ না করে, মমতাকে সমালোচনায় বিদ্ধ করেছেন। তাঁর নেওয়া ‘মহিলাদের নাইট ডিউটি থেকে বিরত রাখা’র সিদ্ধান্ত হোক বা ‘উৎসবে ফেরার ডাক’, পদেপদে ট্রোলের মুখে পড়েন। তবে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্রের একটি পোস্ট। যেখানে তিনি শুধু পুজোয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে পাওয়া উপহারের ছবিই পোস্ট করেননি, বরং একটা খোলা চিঠিও লিখেছেন।
রূপাঞ্জনার চিঠির বক্তব্য তুলে ধরার আগে, বলে রাখা যাক, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আবহཧে তিনি ব💧িজেপিতে যোগদান করেন অফিসিয়ালি। তারপর নানা সময় মমতার সরকারের বিরুদ্ধাচারণ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। যদিও তিনি নিজের দলের নেতা দিলীপ ঘোষকেও একহাত নিয়েছিলেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে। কিন্তু তাঁর এবারে মমতাকে লেখা খোলা চিঠি দেখে অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কোনোভাবে দলবদলের কথা ভাবছেন রূপাঞ্জনা?
অভিনেত্রী ইনস্টাগ্রামে একটি চবি শেয়ার করেব। তাতে দেখা যায় মমতার স🎀রকারের কাছ থেকে এসেছে দুর্গা পুজোর উপহার। তাঁর জন্য একটা শাড়ি ও তাঁর সদ্য বিয়ে করা বর রাতুলের জন্য পাঞ🃏্জাবি। এই ছবি শেয়ার করে রূপাঞ্জনা লিখলেন, ‘মাননীয়া, ২০০৭ থেকে আপনাকে লড়াইয়ের ময়দানে দেখেছি, তখন অল্প বয়েস আমারো, তাই আবেগের সুনামিতে আমিও গা ভাসিয়ে ছিলাম। তারপর একটা গোটা দশক, অনেক কিছু শুনলাম, দেখলাম, বুঝলাম। জানার ইচ্ছে আরো বাড়লো বলেই কিছু বছর রাজনীতির সঙ্গে ছিলাম, অব্যশই এক অন্য দলে।’
রূপাঞ্জনার দাবি, বিজেপি থেকে তাঁকে নাকি বারংবার বলা হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে আক্রমণ করতে। আর সেটা করতে পারেননি বলেই নাক𒆙ি ছেড়েছেন বিজেপি। অভিনেত্রী তাঁর সেই খোলা চিঠিতে লিখেছেন, ‘প্রথম দিন আমাদের বলা হয়েছিল আপনাকে, আপনার নাম-সম্মানকে ATTACK করতে কারণ আপনার নামটাই তাদের কাছে থ্রেট! আপনাকে আর আপনার নামকে অ্যাটাক করতে পারিনি বলে নিজে ছেড়ে দিলাম দল। আপনার কাছে শুধু একটাই আবেদন আপনি আরো সংবেদনশীল হন, যাতে আমাদের পুরোনো দিদিকে আমরা ফিরে পাই।’
এই খোলা চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাঁর আরও আবেদন, ‘অনেকেই আপনার কাছে অনেকে পৌঁছোতে চেয়েও পরে না, কারণ কিছু মধ্যেখানের সিলেক্টেড/ইলেক্টেড অল্ডারম্যানদের মতো বিশেষ লোকজনদের জন্য। যারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি জন্য আপ💃নার কাছে মানুষের কথা পৌঁছতে দেয় না। বা হয়তো কোনোভাবে পৌঁছোনো যায় না অনেক দরকারি বিষয়ে। আপনার পক্ষে সব জানা সম্ভব হয় না, কিন্তু আপনাকে দায় নিতে হবে সবের। তাই একজন এই রাজ্যের এবং এই দেশের নাগরিক হয়ে আপনার কাছে অনুরোধ রাখলাম, আপনি নিজে হাত বাড়িয়ে দিন যাতে আপনার সাথে মানব বন্ধন আরো শক্তিশালী হয়।’