নেটমাধ্যমে এমনিতে বেশ সক্রিয় সাবা আলি খান। সোশ্যাল মিডিয়ায় হামেশাই পাতৌদি পরিবারের নানা অদেখা মুহূর্ত শেয়ার করে থꩲাকেন তিনি। পুরনো অ্যালবাম থেকে তুলে আনেন না দেখা ছবি।কখনও সখনও ট্রোলারদেরও মোক্ষম জবাব দেন। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে নিজের পরিবারের সকল মহিলা সদস্যদের একটি ছবির কোলাজ♓ পোস্ট করেছিলেন তিনি। সেই পোস্টে তাঁর দাদা সইফ আলি খানের স্ত্রী তথা বলি-নায়িকা করিনা কাপুরেরও ছবি ছিল।
তবে সেই পোস্টে দেখা যায়নি সইফের প্রথম স্ত্রী অমৃতা সিংয়ের ছবি। এক ট্রোলার অবশ্য কমেন্ট বক্সে সেকথা সরাসরি সাবাকে জিজ্ঞেসও করে বসেন। ট্রোলারের 'অমৃতাজি কোথায়?' প্রশ্নের উত্তরে সাবা লেখেন, 'মনে হয়,বাড়িতে শান্তিতে ঘুমোচ্ছেন।' সাবার জবাব যে ওই ট্রোলারের মনঃপুত হয়নি তা তার আগুন এবং রাগী মুখের ইমোজি দেওয়া থেকেই স্পষ্ট। আরও এক ব্যꦓক্তি সইফের বোনকে জিজ্ঞেস করেছেন, 'অমৃতা সিং-কে ভুলেই যাননি তো?' সে জবাবও দিয়েছেন সাবা। তবে একটু বাঁকাভাবেই। 'এই রে! হতে পারে। ভাগ্যিস মনে করিয়ে দিলেন। তবে ২০২৩-এ কিন্তু আমাকে একবার অবশ্যই মনে করিয়ে দিও।' নিজের এই কমেন্টের সঙ্গে হাত জোড় করে নমস্কারের ইমোজিও জুড়ে দিয়েছেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়। অমৃতা সিংকে কেন্দ্র করে সাবার উদ্দেশে ভেসে এসেছে আরও কটাক্ষ। কেউ লিখেছেন, 'পরিবারের সব থেকে সাহসিনীকেই দেখা যাচ্ছে না। যে 🍌এক সময়ে একা হাতে তিনটি বাচ্চাকে মানুষ করেছিল (হ্যাঁ, সইফ তখনও বাচ্চাই ছিল।) পাল্টা সাবা তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, 'আপনার বয়স কত?' আবার কেউ অমৃতা সিংয়ের নাম লিখে দুঃখী মুখের ইমোজি জুড়ে দিয়েছেন। সেটিও নজর এড়ায়নি সাবার। তাই তো পাল্টা সেই নেটপাড়ার বাসিন্দাকে তিনি বলেছেন, 'কি অমৃতাকে পছন্দ করেন না বুঝি? আপনার ইমোজি দেখে তো তাই মনে হল আমার।'
প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে সাত পাকে বাঁধ෴া পড়েছিলেন সইফ এবং অমৃতা। সোফার থেকে বয়সে প্রায় ১৩ বছরের বড় অমৃতা। এরপর ২০০৪ সালে বিচ্ছেদ হয় তাঁদের। সইফ-অমৃতার দুই সন্তান- সারা এবং ইব্রাহিম। বর্তমানে করিনার সঙ্গে সুখে ঘরকন্না করছেন সইফ। তাঁদের দুই সন্তান- ইব্রাহিম এবং জেহ।