যত বিতর্কই জুড়ে থাকুক তাঁর ব্যক্তিগত জীবন জু✱ড়ে, সলমন খানের মানবিক গুণ নিয়ে দ্বন্দ তৈরি হয়নি কখনও তাঁর অতি বড় শত্রুর মনেও। বিভিন্ন সামাজিক কাজের বছরের পর বছর একনাগাড়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে গেছেন এই বলি-তারকা। গত বছর করোনা অতিমারীর সঙ্গে যুঝতে যখন সারা দেশজুড়ে চলছে লকডাউন তখনও এগিয়ে এসেছিলেন 'ভাইজান'।ব্যক্তিগত উদ্যোগে মুম্বইয়ের দুঃস্থ ও প্রান্তিক মানুষদের কাছে প্রতিদিন নিয়ম করে রেশনের প্যাকেট পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন এই বলি-তারকা। বাদ পড়েননি কোভিড যোদ্ধারাও। কোভিড যুদ্ধের প্রথম সারির সৈনিকদের কাছেও সলমনের তরফে ন🍒িয়ম করে প্রতিদিন খাবারের প্যাকেট পৌঁছে দিয়েছিল তাঁর টিম। এবার ফের একবার সেই রেশন ব্যবস্থা চালু করতে চলেছেন সলমন।
বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত গোটা দেশ। সবথেকে শোচনীয় অবস্থা মহারাষ্ট্রের। বিশেষ করে মুম্বইয়ের। প্রতিদিনই সেখানে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্ৰমণ। করোনা আক্রান্তদের সংখ্যাটা রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে চিকিৎসকদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারের পক্ষ থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে মুম্বইয়ে। দিনের মধ্যে শুধুমাত্র চার ঘন্টার ছাড় দেওয়া হয়েছে নাগরিকদের অত্যাবশকীয় জিনিষপত্র কেনার জন্য। বলাই বাহুল্য, বিপদে পড়েছেন অর্থনৈতিকভাবে দুঃস্থ ও প্রান্তিক সীমানায় দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের দল। এহেন পরিস্থিতেই এগিয়ে এলেন সলমন। যুব সেনার নেতা রাহুল কনওয়ালের সঙ্গে একজোটে গ🌺ত বছরের মতো রেশনিং প্রকল্পটি চালু করতে চলেছেন এই বলি-তারকা। দুঃস্থ মানুষদের সাহায্য করার পাশাপাশি কোভিড যোদ্ধাদের কাছে প্রতিদিন খাবারের প্যাকেট পৌঁছে দেবে সলমনের ব্যক্তিগত টিম। ওরলি থেকে জুহু পর্যন্ত রাখা হয়েছে 'রেশন ব্যবস্থা'-র সীমানা। জানা গেছে, খাবারের প্যাকেটের মধ্যে থাকছে উপমা, পোহা,পাও ভাজি কিংবা বড়া পাওয়ের মতো খাবার𝓰ের পদ। এই প্রসঙ্গে সলমন স্বয়ং জানিয়েছেন যেহেতু আপাতত ১৫ মে পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চলবে তাই মুম্বইয়ের অন্যান্য 'পকেট' অঞ্চলেও খাবারের প্যাকেট পৌঁছবে ধীরে ধীরে।
গোটা বিষয়ে মুখ খুলেছেন রাহুল কনওয়াল। তিনি জানিয়েছেন লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরেই চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন সলমন। তাঁর প্রধান চিন্তা ছিল প্রতিদিন মাত্র চার ঘন্টার সময়সীমার মধ্যে নꩲিজেদের দায়িত্ব সামলে কী করে দৈনন্দিন বাজার করতে পারবেন কোভিড যোদ্ধারা। তারপরেই নাকি রাহুলের সঙ্গে সামান্য আলোচনার মাধ্যমেই এই সিদ্ধ🌃ান্তে আসেন সলমন।