সদ্যই এবারের সারেগামাপার গ্র্যান্ড ফিনালে সম্প্রচারিত হয়েছে। আর সেꦇখানে সেরার খেতাব জিতে নিয়েছেন দেয়াশিনী রায় এবং অতনু মিশ্র। কিন্তু জানেন কি এবারের এই দুই বিজয়ী আসলে একই গুরুর ছাত্র? এদিন নিজের পরিচয় প𒁃্রকাশ্যে এনে তেমন কথাই জানালেন দেয়াশিনী এবং অতনুর গর্বিত স্যার।
আরও পড়ুন: প্রেম দিবসে📖ই 'বিশেষ' মানুষের সঙ্গে করিয়েছেন আলাপ, এবার কোন🅰 সিদ্ধান্ত নিলেন কবীর সুমন?
আরও পড়ুন: মাথায় ব্যান্ডেজ, নাকে অক্সিজেনের মাস্ক! কী হয়েছে ꧒সোনামণির?
কী ঘটেছে?
এদি🏅ন সীমন্ত সরকার নামক এই ব্যক্তি দেয়াশিনী এবং অতনুর সঙ্গে তাঁর দুটো ছবি পোস্ট করেন। জানান এবারের সারেগামাপার দুই বিজয়ী আসলে তাঁর ছাত্র। এতদিন যে দুজনের গানে গোটা বাংলা মেতেছিল তাঁদের মধ্যে যে এমন নিবিড🌳় যোগ আছে সেটা কে জানত!
এদিন সীমন্ত সরকার তাঁর দুই ছাত্রের গর্বের গর্বিত হয়ে লেখেন, 'আনন্দের, গর্বের 🥃মুহূর্ত। আমার দুই ছাত্র-ছাত্রী দেয়াশিনী রায় এবং অতনু মিশ্র এবার জি বাংলা সারেগামাপাতে 💜বিজয়ী হয়েছে। দেয়াসিনী প্রায় ১০ বছরের মতো শিখছে আর অতনু ৫ বছরের মতো হবে। তাদের সঙ্গে সঙ্গে আপনারা আমাকেও আশীর্বাদ করুন যেন আমিও আমার কাজের প্রতি সৎ থেকে এই মহাযজ্ঞ চালিয়ে যেতে পারি।'
তিনি এদিন দেয়াশিনীর বিষয়ে লিখতে গিয়ে বলেন তাঁর অধ্যাবসায়ের কথা। লেখেন, 'দেয়াশিনীর হয়ে এটুকু বলতে পারি যে কোনও কিছুই সহজে আসেনি। ও ঘষেছে প্রচুর। যাকে বলে পরিশ্রম। একদম নিষ্ঠার সঙ্গে। এরকম ছাত্রী সব গুরুই পেতে চাইবেন। যতদিন দেয়াশিনী আমার কাছে শিখছꦏে, আমি আজ পর্যন্ত একদিনও দেখিনি যে হোমওয়ার্ক ঠিক করে করে আসেনি। সে শরীর খারাপ হোক বা পরীক্ষা। দিনে কম করে ৪ ঘণ্টা রেওয়াজ করত। কোনও কোনও সময়ে তার থেকেও বেশি। আর একটা জিনিস ওর মধ্যে রয়েছে যেটা এখন প্রায় আর দেখাই যায়না সেটা হল গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা-ভক্তি। ওর জোজো দাদা বলেছে মানে সেটা ওর কাছে বেদবাক্য। আর এই শ্রদ্ধা ভক্তি ওর থেকেও ওর মা বাবা বেশি করে বলে মনে হয়। আপনারা সকলে ওকে আশীর্বাদ করুন যেন এরকমই পরিশ্রমী থাকতে পারে এবং গানের প্রতি নিষ্ঠা রেখে এগিয়ে যেতে পারে।'
অন্যদিকে জানান অতনু তাঁর কাছে অনলাইনে ক্লাস করে। এই খুদের বিষয়ে তিনি লেখেন, 'আর দুষ্টু অতনু ওর ব্যপারে আর কী বলব। যদিও আমার কাছে অনলাইন ক্লাস করে, কারণ ওর শরীর পারমিট করে না যে ও প্রত্যেক সপ্তাহে কাঁথি থেকে এসে ক্লাস করবে। তবে যেটা শেখার মতো সেটা হল ওর গানের প্রতি ভালোবাসা। আমার মনে হয় ওকে না খেতে দিলেও চলবে♔, কিন্তু গান ছাড়া এক মুহূর্ত ও থাকতে পারবে না । অসাধারণ প্রতিভা থাকলেও পরিশ্রমেও কিন্তু কোনও কমতি নেই। আর আছে গানের ক্লাসের প্রতি সাংঘাতিক টান। আমি রাত ১০টা থেকে ১১.৩০ অব্দি ক্লাস করাই। কোনও কোনও সময়ে ১২ টাও বেজে যায়ে। কিন্তু কোনওদিন কোনও ক্লান্তি, বা অমনোযোগী হয়ে পড়া কোনওটাই চোখে পড়েনি। যদিও ও এখনও প্রায় কিছুই শেখেনি, আপনারা আশীর্বাদ করুন যাতে মাথা নীচু করে যেন এখন শুধু শিখে যেতে পারে । ওদের সম্বন্ধে একটু একটু করে আপনাদের বললাম কারণ সবাই 🃏জানে ওরা বিজয়ী হয়েছে, কিন্তু কেন হয়েছে সেটা জানাটাও আরও প্রয়োজন।'
প্রসঙ্গত এবারে বড়দের মধ্যে প্রথম হয়েছেন দেয়াশিনী। দ্বিতীয় স্থানে আছেন ময়ূরী। না, তবে ময়ূরী একা নন। এই একই পদে রয়েছেন সাঁই-ও। তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন সত্যজিৎ। পাহাড়ের ছেলে আরিয়ান কোনও স্থান পাননি। তবে আরাত্রিকা পেয়েছে একটি বিশেষ সম্মান। কালিকাপ্রসাদ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনি এদিন। অন্যদিকে ছোটদের মধ্যে প্রথম হয়েছেꦬ অতনু। দ্বিতীয় স্থানে আছে ঐশী। তৃতীয় স্থানে অনীক। সৃজিতা চতুর্থ হয়েছে।