💞 যৌনতাকে আজও ভারতীয় সমাজে ট্যাবু হিসাবেই গণ্য করা হয়। তাই স্বমেহন বা স্বমৈথুন নিয়েও নানান ভুল ধারণা বয়ে বেড়ান অনেকে। সিনেমার পর্দাতে স্বমৈথুনের দৃশ্যে অভিনয় করলেই কটূক্তিতে জর্জরিত হতে হয় নায়িকাদের। অভিনেত্রী শ্বেতা ত্রিপাঠিও তাঁর বাইরে নন।
❀এর আগে কিয়ারা আডবানি, স্বরা ভাস্কররাও একইরকম পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন ওটিটি কিংবা সিনেমার পর্দায় এমন সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করে। মির্জাপুর ওয়েব সিরিজে একটি স্বমেহনের দৃশ্যে অভিনয় করেছেন শ্বেতা। সেলফ-প্লেজারের ওই দৃশ্যকে ঘিরে নানান প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়েছেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন শ্বেতা।
🔴তিনি বলেন,‘মির্জাপুর’ মুক্তি পাওয়ার পরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলাম। সাংবাদিকরা হাসতে হাসতে আমাকে প্রশ্ন করছিলেন, সেই দলে মহিলারাও ছিলেন। আমি তো এ সব দেখে অবাক। স্বমেহন তো খুব স্বাভাবিক একটা বিষয়। আমি পালটা জানতে চেয়েছিলাম, ‘এর আগে আপনারা কখনও স্বমেহন করেননি?’ সেটা শুনেও ওঁরা হাসতে থাকলেন। আমি তখন বললাম, মানুষ তো দেখছে। স্বমেহনের দৃশ্য নিয়ে এত হইচই-এর তো দরকার নেই।'
𝔉শ্বেতা আরও বলেন চিত্রনাট্য অনুসারে পরিচালক যা দেখাতে চাইছেন তাঁর ভাবনাকে পর্দায় তুলে ধরাই অভিনেত্রী হিসাবে তাঁর একমাত্র কাজ। শ্বেতা বলেন, ‘গজগামিনী বা গোলু আমার খুব পছন্দের চরিত্র। আমার একটাই লক্ষ্য ছিল, চরিত্রটি যেন ভাল ভাবে তুলে ধরতে পারি।’
🌳স্বমেহনের দৃশ্য নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত আলোচনার দরকার নেই, বলেই মনে করেন শ্বেতা। প্রসঙ্গত, মির্জাপুরের পাশাপাশি ‘মাসান’ ও ‘কালকূট’-এর মতো ছবিতে কাজ করেছেন শ্বেতা।