মদিনা সফরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সৌদি আরবের জেড্ডায় তৃতীয় হজ ও উমরাহ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন স্মৃতি। গত সোমবার মদিনা শহরে গিয়েছিলেন ভারতের সংখ্যালঘু বিষয়ক এই মন্ত্রী। প্রসঙ্গত মদিনা হল ইসলাম ধর্মের অন্যতম পবিত্র শহর। আর তাই কট্টরপন্থীদের প্রশ্ন সৌদি আরব কীভাবে একজন অ-মুসলিম মহিলাকে মদি🧜না সফরের অনুমতি দিল?
সোশ্যাল মিডিয়ায় সৌদি আরবের প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমন সৌদের বিরুদ্ধে কট্টরপন্থী মুসলিমরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন? কটꦜ্টরপন্থীদের প্রশ্ন, 'স্মৃতি ইরানি তো মুসলিম নন, তিনি কীভꦰাবে ভিনধর্মের লোকজনকে নিয়ে পবিত্র মদিনায় প্রবেশ করলেন?' কে তাঁকে এই অনুমতি দিল?'
ঠিক কী বলছেন কট্টরপন্থীরা?
একজন লেখেন, কেন এক মুশারিকেন-কে আমাদের পবিত্র শহরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হল? প্রসঙ্গত 'মু🅘শারিকেন' বলতে বোঝায়, যাঁরা দেবতার পুজো করেন, মূর্তি পুজোয় বিশ্বাস করেন। আরও একজন লিখেছেন, ‘পয়গম্বরের পবিত্র স্থানে মূর্তি পূজারকদের উপস্থিতিতে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন ঢুকতে দেওয়া হল!’ কারোর প্রশ্ন, একজন হিন্দু মহিলা মাথা না ঢেকে কীভাবে মদিনার পবিত্র মসজিদে ঘোরাফেরা করেন।
প্রসঙ্গত ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, মক্কা থেকে ৬২২ খ্রীষ্ট পূর্বাব্দে চলে আসার পর মহম্মদ মদিনা শহরেই ইসলাম ধর্মের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মদিনা শহরেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস নিয়েছিলেন, সেখানꦗেই তাঁকে কবর দেওয়া হয়✤।
তবে যা যাই বলুন না কেন, সেসব কথা না ভেবে সোশ্যাল মিডি🌸য়ায় মদিনা সফরের বিভিন্ন মুহূর্তের কোলাজ পোস্ট করে আবেগে ভেসেছেন স্মৃতি। তিনি লেখেন, 'আজ (সোমবার) ইসলামের অন্যতম পবিত্র শহর মদিনায় ঐতিহাসিক যাত্রা করলাম।' কেন্দ্রীয়🦩 সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী আরও জানান, পবিত্র নবীর মসজিদ, আল মসজিদ আল নববী, উহুদ পর্বত এবং ইসলামের প্রথম মসজিদ কুবা ঘুরে দেখেছেন। তাঁর কথায়, 'সৌদি আরবের কর্মকর্তাদের সৌজন্যে সৌজন্যে ইসলামিক ইতিহাসের গোড়ার দিকে এই স্থানগুলির পরিদর্শনের ফলে বুঝেছি এর সঙ্গে আমাদের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক যোগসূত্র রয়েছে'।
প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই ভারত-সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক🌄্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যেখানে ২০২৪ সালে হজযাত্রার জন্য ১ লক্ষ ৭৫হাজার ২৫ জনের কোটা নির্ধারিত করা হয়েছে। এটাকে হজ সমঝোতার নাম দেওয়া হয়েছে। এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন, জেদ্দায় সৌদির হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক বিন ফৌজান অল রবিয়া।