গত কয়েকদিন ধরেই আলোচনা আর বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ইস্পাত কারখানার জমি নিয়ে আইনি প্যাঁচে পড়েছেন মহারাজ। মমতা সরকার দাদাকে ইস্পাত কারখানার জন্য ৩৫০ একর জমি মাত্র ১ টাকায় দিয়েছেন। চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানো প্রয়াগ গ্রুপের ৭৫০ একর জমি বাজেয়াপ্ত করেছিল রাজ্য সরকার, সেই জমি থেকেই সৌরভকে প্রায় অর্ধেক জমি দিচ্ছে মমতা সরকার। সেই নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ চিটফান্ড সং✃স্থায় ২৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগকারী আমানতকারীরা।
এই বিতর্ক নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি সৌরভ। তবে সৌরভের ঝুলিতে আসছে একের পর এক সম♈্মান। গত ২৯শে জুলাই মোহনবাগান দিবসে 'মোহনবাগান রত্ন' সম্মান পেয়েছিলেন, এবার ইস্টবেঙ্গলের প্রতিষ্ঠা দিবসে 'ভারত গৌরব' সম্মান পেলেন প্🧸রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। নিজে ক্রিকেট খেলার সঙ্গে যুক্ত হলেও আর পাঁচজন বাঙালির মতো সৌরভের কাছেও ফুটবল মানেই বাড়তি একটা আবেগ। দুই ক্লাবের তরফে সম্মান পেয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি। বৃহস্পতিবার সৌরভের পাশে দেখা গেল তাঁর বেটারহাফ ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়েরও। ছিলেন দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ও।
স্যুট-ব্যুটে এদিন ধরা দিলেন সৌরভ। পাশে꧋ কালো জামদানিতে ঝলমলে ডোনা। ছিমছাম সাজেই বরাবর নিজেকে মেলে ধরেন সৌরভ ঘরণী, এদিনও সেইভাবেই সামনে এলেন ডোনা। গত মাসের শেষে দ্বিতীয় বিয়ে সেরেছেন সৌরভের দাদা স্নেহাশিস। সেই বিয়েতে দেখা মেলেনি সৌরভ ও ডোনার। শহরে থাকলেও ভাসুরের বিয়েতে পৌঁছাননি ডোনা, ওদিকে সৌরভ সেই বিয়ের দু-দিন পর কলকাতায় ফেরেন। স্বভাবতই দুই ভাইয়ের সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, এমন কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। এদিন অবশ্য দাদার সঙ্গে এক টেবিল এবং মঞ্চ শেয়ার করে নিলেন সৌরভ। খোশমেজাজেই দেখা গেল চণ্ডী গঙ্গোপাধ্যায়ের দুই পুত্রকে।
এদিনের অনুষ্ঠানে ছিল চাঁদের হাট। পৌঁছেছিলেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সৌরভকে সম্মানিত করেন বুম্বাদা। এদিন পুরস্কৃত হয়েছেন অপর তারকা ক্রিকেটার মহম্মদ শামিও। মঞ্চে দেখা মিলল ক্র﷽ীড়ামনꦜ্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মেয়র ফিরহাদ হাকিমেরও। এদিন স্বভাবতই একটা চেনা প্রশ্নের মুখে পড়লেন সৌরভ। আসন্ন ডার্বিতে কোন ক্লাবকে সমর্থন করবেন দাদা? সুকৌশলী জবাব দেন প্রাক্তন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। তিনি মুচকি হেসে জানান, দুটো দলকেই সাপোর্ট করবেন।
যদিও এই প্রথম নয়, এর আগে দাদাগিরির মঞ্চেও সৌরভ বলেছেন, তাঁর সমর্থন নাকি দু-দিকেই।ꩵ যদিও মোহনবাগানের প্রতি আলাদা একটা ভালোবাসা আছে মহারাজের, সেটা সবুজ-মেরুন ভক্তদের অজানা নয়। ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর ফুটবল প্রশাসনে মন দিয়েছিলেন সৌরভ। শুরুর ﷽দিন থেকে অ্যাটলেটিকো ডি কলকাতার অন্যতম কর্ণধার ছিলেন। পরবর্তীতে মোহনবাগানের সঙ্গে এটিকে মিশে গিয়েছে, নতুন দলের নাম হয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। আর ২০২৩-২৪ মরশুম থেকে মোহনবাগানের নামের সামনে থেকে উঠে গিয়েছে এটিকে। নয়া দলের নাম হয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। তারইমধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট থাকার কারণে স্বার্থের সংঘাতের কারণে ২০২১ সালে এটিকে মোহনবাগান (তৎকালীন) থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন সৌরভ।