দাদাগিরি-র ১০ নম্বর সিজন জমে ক্ষীর! এই রিয়ালিটি শো-এর আসন্ন এপিসোডের ঝলক সামনে আসতেই ফের চর্চায় সৌরভ-ডোনার প্রেম। সৌরভ-ডোনার খুনসুটি ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে বহুবার দেখেছে দর্শক। ডোনা সশরীরে হাজির না থাকলেও এই গেম শো-এর প্রতি এপিসোডেই উঠে আসে 'দাদা'র ম্যাডাম-এর প্রসঙ্গ। বউকে নিয়ে একাধিক সিক্রেট সৌরভ ফাঁস করেছেন এই মঞ্চে। ফের দাদাগিরির মঞ্চে নিজের দাম্পত্য জীবন নিয়ে মন্তব্য় মহারাজের। আরও পড়⛎ুন-'দেব তো বকা দেয়', ‘প্রধান’ নায়ককে নিয়ে রচনার জেরার মুখে সৌমিতৃষা! কী জবাব মিℱঠাইরানির?
শনিবার রাতের এপিসোডে চারজন তারকা ও তাঁদের সহধর্মিণীদের নিয়ে জমবে সৌরভের দাদাগিরি। সস্ত্রীক হাজির থাকবেন রাঘব চট্টোপাধ্যায়, রূপঙ্কর বাগচি, বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়, সুজন নীল মুখোপাধ্যায়রা। খেলার ফাꦯঁকেই সৌরভ জানান,গানে গানে বিয়ের রজত জয়ন্তী বর❀্ষ (২৫ বছর) ছুঁয়েছেন রাঘব ও তাঁর স্ত্রী। মঞ্চে উপস্থিতদের মধ্যে বিশ্বনাথের দাম্পত্যের বয়স সবচেয়ে কম, মাত্র ১৫ বছর। অন্যদিকে রূপঙ্কর-চৈতালী আগামী বছরে ২৫ ছোঁবেন, সুজন ও তাঁর স্ত্রী ইতিমধ্যেই সেই মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলেছেন।
এইসব শুনেই সৌরভ সটান বলেন, ‘সবার থেকে সিনিয়র আমি, ২৬ বছর’। ক্রিকেটের মাঠে সৌরভের ডেয়ার ডেভিল অবতার কারুর অজান🌳া নয়। তবে ২২ গজের বাইরেও ততটাই অকুতোভয় প্রেমিক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশের বাড়ির মেয়ের সঙ্গে গোপনে প্রেম, বিয়েটাও করেছিলেন লুকিয়ে। সেখান থেকে দাম্পত্য় জীবনের ২৬ বছর পার করে ফেলেছেন সৌরভ-ডোনা। যদিও আইনি বিয়ের হিসাবে দাম্পত্যের বয়স আরও এক বছর বেশি।
‘ম্যাডাম’ অন্তপ্রাণ সৌরভ। মহারাজের কিশোর বয়সের প্রেম ডোনা, পরস্পরের প্রতিবেশী ছিলেন দুজনে। তবে বেহালার গাঙ্গুলি আর রায় পরিবারের মধ্যেকার সম্পর্ক একেবারেই মধুর ছিল না। পরিবারের কাছে লুকিয়ে ১৯৯৬ সালের অগস্ট মাসেই আইনি বিয়েটা সেরে ফেলেছিলেন দুজনে। এ⭕ক বছর পর সবটা জানাজানি হতে সামাজিক রীতি মেনে চারহাত এক হয় দুজনের। ১৯৯৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি একটি ওয়েডিং রিস𒀰েপশন রাখা হয় দুই পরিবারের তরফে। আর ২০০১ সালে সৌরভ আর ডোনার কোল আলো করে আসে তাঁদের মেয়ে সানা।
ব্রিটেনের নামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশনের ডিগ্রি লাভ করেছে সানা। আপতত বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় কনস্যালট্যান্ট কোম্পানিতে কর্মরতা সানা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ডোনা জানিয়েছেন, 🙈বাস্তবে তিনি সৌরভকে ডাকেন ‘বাবা’ বলে। মেয়ে সানার জন্মের পর থেকেই নাকি, সৌরভকে ‘বাবা’ নামেই ডাকেন তিনি। ডোনার কথায়, ‘আমার বাবা বিপদে পড়ে যান। বুঝতে পারেন না কাকে ডাকছি। যদিও মেয়ের বুঝতে কোনও সমস্যাই হয় না।’