২০০৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল 'কাল হো না হো' ছবিটি। অভিনয় কর⛎েছেন শাহরুখ খান, সইফ আলি খান, প্রীতি জিন্টা। ওই বছর ২৮ নভেম্বর মুক্তি পায় ছবিটি। সমালোচক ও বাণিজ্যিকভাবে প্রশংসিত হয়ে সেই বছরের সর্বোচ্চ আয়কারী সিনেমা হয়ে ওঠে।
শীঘ্রই মুক্তির ২০ বছর পূর্ণ হবে 'কাল হো না হো'র। পরিচালক নিখিল আডবানি ছবিটি সম্পর্কে কিছু অবাক করা তথ্য প্রকাশ করেছেন। ছবিতে তিন বন্ধুর মধ্যে ত্রিকোণ প্রেমের গল্প উঠে এসেছে, একে অপরের অনুভূতির প্রতি ত্যাগ এবং শ্রদ্ধার উপর ভিত্তি করে। আরও পড়ুন: সলমনের ভাগ্নিও সিনমায়! ছবির প্রচারে হাজির মামা, সকলের মাঝে দাঁড়িয়ে ছবিও তুল✨লেন
SRK ছবি থেকে সরতে চেয়েছিলেন
পরিচালক হিসাবে এই ছবির হাত ধরেই আত্মপ্রকাশ করেন নিখিল আডবানি। সম্প্রতি রাজশ্রী আনপ্লাগডের সঙ্গে কথা বলার সময় পরিচালক ফাঁস করেন, 'চার দিন শ্যুটিং করার পর পিঠে ব্য়থা এবং অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন শাহরুখ। ও আমাকে বলেছিল, 'আমাকে সিনেমা থেকে সরিয়ে দিন'। আমরা⭕ না বলেছিলাম এবং আমরা শ্যুটিং পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। আমরা শ্যুটিং ছয় মাস পিছিয়ে দিয়েছিলাম'।
চাপ অনুভব করেছিলেন নিখিল
পরিচালক আরও জানিয়েছেন, ‘চাপ ছিল কারণ ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ এবং ‘কভি খুশি কাভি গম’ এত ভালো করেছে। যদি করণের অধীনে ধর্মা প্রোডাকশনের পরবর্ত🍸ী সিনেমা ভালো না করে, তবে সমস্ত দোষ এই সত্যিটার উপর𝕴 চাপানো হত ১০০ শাতাংশ ট্র্যাক রেকর্ডটি নিখিল আডবানির হাতে নষ্ট হয়েছে। তাই চাপ ছিল অপরিসীম’।
নিউ ইয়র্কে শ্যুটিংয়ের চ্যালেঞ্জ
নিউইয়র্কে শ্যুটিংয়ের যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন, সে সম্পর্কে বলতে গিয়ে পরিচালক বলেন, ‘এর আগে কেউ নিউইয়র্কে শ্যুটিং করেনি। মানুষ লন্ডনে গিয়েছে, মানুষ সুইজারল্যান্ডে গিয়েছে, মানুষ ইউরোꦡপে গিয়েছে। নিউইয়র্কে শ্যুটিংয়ের সময় ইউনিটগুলির নিজস্ব সমস্যা রয়েছে এবং... এটি একটি ব্যয়বহুল স্থান নতুন প্রযোজক বা একজন আত্মপ্রকাশকারী পরিচালকের জন্য শ্যুটিং করা। কিন্তু যশ জোহর যে কোনও প্রোডাকশন চ্যালেঞ্জ নিতে পারদর্শী ছিলেন। তাই খুব একটা সহজ ছিল না সিনেমার ক্ষেত𒊎্রে ব্যাপারগুলি’।
২০০৩ সালে গ্লোবাল বক্স অফিসে ৮১.৯৫ কোটি টাকা ব্যবসা করেছিল ‘কাল হো না হো’। এই ছবিতে নয়নার চরিত্রের জন্য প্রথমে অফার গিয়েছিল করিনা কাপুরের কাছে। তবে অভিনেত্রী ꦬনাকচ করায় সেই অফার যায় প্রীতি জিন্টার কাছে।