জুনিয়র ডাক্তারদের পর এবার তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় অপর্ণা সেন। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে সরকারকে প্রথমদিন থেকেই বিঁধেছেন অপর্ণা সেন। ‘চটিচাটা বুদ্ধিজীবী’ কটাক্ষ, স্লোগানকে উপেক্ষা করে পাশে দাঁড়িয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদের। হাজির হয়েছেন তাঁদের ধরণা মঞ্চে। নৈতিকভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন অশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের। আরও পড়ুন-‘কার্নিভালের মঞ্চে মাইক হাত🐻ে নাচবেন…’, পুজো কার্নিভাল নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ মানসীর
রাজ্য সরকার এবং জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে♕ চেয়ে দু'পক্ষকে ইমেলও পাঠিয়েছিলেন অপর্ণা সেন। এবার তাঁকে নিয়ে বেলাগাম তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অপর্ণাকে বিঁধলেন তিনি। অপর্ণা সেনের মতো বিশিষ্ট পরিচালক তথা অভিনেত্রীকে আক্রমণ করে কল্যাণ বলেন, 'অপর্ণা মাসিদের মতো মহিলারা এমন ভাব দেখাচ্ছেন যেন ওদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গদিতে এসেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও ক্যালিবার নেই। এমন দু🦂 -একজন বলছে, যেন ওরা খেটে খুটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এসেছে। যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও দামই ছিল না। অপর্ণা মাসিরা সব গুলিয়ে দিচ্ছে। আর তো দিদি নেই, মাসি হয়েছে এটুকু তো বুঝতে চেষ্টা করুক।'
শ্রীরামপুরে দুর্গাপুজোর কার্নিভালে এসে এমন মন্তব্য করেন সাংসদ। ডাক্তারদের অনশন নিয়েও খিল্লꦍি কল্যাণের। তিনি বলেন, ‘কীসের অনশন। এখন তো অনশন হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি পর্যন্ত। আমরণ অনশন তো নয়। এটা রিলে অনশন… উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে দেখলাম একজন অনশন শুরু করেছে। বিকালেই চলে গেল হাসপাতালে। ওরা মানুষের সেবা করতে আসেনি। নিজেদের ব্যাপারটা গুছিয়ে নিতে এসেছে। গ্রামের মানুষের কাছে যান না তাঁরা বুঝি🌸য়ে দেবেন। ওই ধর্মতলায় সেফ জোনে অনেক কিছু বলা যায়।’
অনশন মঞ্চে মৌসুমী ভৌমিকের উপস্থিতিকে বিঁধে তিনি বলেন, ‘কোনও কোনও গায়িকাকে ভাড়া করে ন🌞িয়ে আসছে একটু গান টান গাইবে।’ জুনিয়র চিকিৎসকদের আমরণ অনশন ইতিমধ্যেই দশম দিনে পড়েছে। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চারজন চিকিৎসক। তবুও দমতে না-রাজ তাঁরা।
ওদিকে পুজো কার্নিভালের দিনই 'দ্রোহের কার্নিভাল'-এর ডাক দিয়েছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। সেই কার্নিভাল🎃ের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে মানসী লেখেন, ‘এ কার্নিভাল..আমাদের সবার হোক’।
আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে এবং অনশনরত চিকিৎসকদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে রানি রাসমণি রোডে আগামিকাল (মঙ্গলবার) বিকাল ৪টে থেকে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’। তার আগে আজ,(সোমবার) স্বাস্থ্যভবনে চিকিৎসক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পরে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন যে জুনিয়র ডাক্তাররা যে ১০টি দাবি তুলেছেন, সেগুলির মধ্ꦅযে সাতটিই ইতিমধ্যে পূরণ করেছে রাজ্য সরকার। বাকি দাবিগুলি যাতে দ্রুত কার্যকর করা যায়, সেজন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে।