♎ ৯ জানুয়ারি বিকেলে চিরতরে স্তব্ধ হয়ে যায় উস্তাদ রাশিদ খানের কণ্ঠ। মাত্র ৫৫ বছরেই ফুরোল তাঁর জীবন সফর। থেকে গেল অসংখ্য গান এবং তাঁর অগণিত ভক্ত। গত মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর মরদেহ পিস হেভেনে রাখা হয়েছিল। বুধবার, ১০ জানুয়ারি রবীন্দ্র সদনে নিয়ে আসা হয় রাশিদ খানকে। সেখানে তাঁর অনুরাগীরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। এরপর গান স্যালুটের মাধ্যমে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হয় পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়।
গান স্যালুটের মাধ্যমে শেষ শ্রদ্ধা রাশিদ খানকে
ꦍমঙ্গলবার রাশিদ খানের মৃত্যুর খবর পেয়েই হাসাপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন তাঁর আপনজন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি জানান বুধবার রবীন্দ্র সদনে প্রয়াত গায়ককে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। এদিন সকাল সকাল রবীন্দ্র সদনে তাঁর মরদেহ নিয়ে আসা হয়। বহু দূর দূর থেকে রাশিদ খানের ভক্তরা ছুটে এসেছিলেন তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। তারপর সেখানে তাঁকে গান স্যালুটের মাধ্যমে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। তাঁর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে একাধিক শিল্পী শোকপ্রকাশ করেছেন।
ꦿ এদিনই শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে রাশিদ খানের। তাঁর পরিবারের উপস্থিতিতেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে তাঁর।
আরও পড়ুন: ꦯ'বাংলা-ওড়িয়া-কন্নড় ভাষায় কেন UPSC দেওয়া যাবে না?' ১২ ফেল দেখে ক্ষুব্ধ বাংলা পক্ষের গর্গ
কী হয়েছিল রাশিদ খানের?
♌বহুদিন ধরেই রাশিদ খানের ক্যানসারের চিকিৎসা চলছিল। তাঁর প্রস্ট্রেট ক্যানসার হয়েছিল। সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে শহরের বাইরে নিয়ে গিয়ে তাঁর বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়। এরপর থেকেই বছর ৫৫ এর এই শিল্পীর একটার পর একটা সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। হামেশাই তাঁর প্লেটলেট নেমে যেত। এরপর ২১ নভেম্বর তাঁর স্ট্রোক হওয়ায় স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবশেষে সেখানেই ৯ জানুয়ারি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।