শিবাজী সতমকে মনে আছে? আসলে নিজের স্ক্রিন নামেই ভূ-ভারতে ব🐼িখ্যাত তিনি। ‘সিআইডি’ ধারাবাহিকের এসিপি প্রদ্যুম্ন। এই নামটা শুনলে আট থেকে আশি সব্বাই একডাকে চিনবে তাঁকে। ২০ বছর ধরে ভারতীয় টেলিভিশনে রাজ করেছেন এসিপি প্রদ্যুম্ন, ইনস্পেক্টর দয়া, সিনিয়র ইনস্পেক্টর অভিজিৎ, পূর্বীরা। দীর্ঘসময় ধরে ভারতীয় টেলিভিশন প্রেমীদের রহস্য রোমাঞ্চের খিদের রসদ জুগিয়ে চলা এই শো আচমকা কেন বন্ধ করে দেওয়া হল তা নাকি স্পষ্টভাবে জানেন না স্বয়ং এসিপি প্রদ্যুম্ন🌄।
কোনও এক জাদুমন্ত্রে যিনি সব অপরাধের কিনারা করতেন পর্দায় এই রহস্যটি এত বছর ধরেও সমাধান করতে পার🌜েননি তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে শিবাজী বলেছেন, ‘সিআইডি’র কলাকুশীরা একটা সময়ে নিজেদের ‘অপ্রয়োজনীয়’ ভাবতে শুরু করেছিল। রাতের স্লটে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল এই শো-কে, যা পছন্দ হয়নি অভিনেতাদের। অথচ করোনার সময় যখন সমস্ত সিরিয়ালের প্রোডাকশন বন্ধ ছিল তখন ফের সিআইডি-র পুনঃসম্প্রচার হয় চ্যানেলে, দর্শকদের মধ্যে এই শো-এর জনপ্রিয়তায় এতটুকুও ভাটা পড়েনি তা বুঝিয়ে দিয়েছে করোনা লকডাউ🌺নের প্রথম পর্ব।
সিআইডি-র অফ-এয়ার যাচ্ছে এই খবর যেদিন জেনে ছিলেন শিবাজী সতম, কেমন অনুভ🧸ূতি ছিল? টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে অভিনেতা জানান, ‘ওইদিন শুক্রবার ছিল, আর আমাদের বলা হল সোমবার আমাদের শেষ দিন। এমনকি প্রযোজকরাও জানতেন না। তবে হ্যাঁ, একটা বিষয়- আমরা এই ঘটনার এক বছর💞 আগে থেকে অন্যরমক ভাবনার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম, আমাদের শো-এর টাইম পিছিয়ে রাত ১০.০০ থেকে ১০.৩০ করে দেওয়া হয়েছিল’।
শিবাজী সতম আরও যোগ করেন, ‘তারপর,সেটা আসতে আসতে অন-এয়ারে আরও দেরিতে আসা শুরু করল। কোনওদিন ১০.৪০ বেজে যেত, আসতে আসতে আমরা দেখলাম সিআইডি রাত ১১টায় শুরু হচ্ছে। যেটা দুঃখজনক ছিল। আমরা অনুভব করতে পারছিলাম কিছু একটা ঘেঁটে গেছে। কিছু একটা সঠিক নেই। আমাদের নিজেদের বড্ড অপ্রয়োজনীয় মনে হচ্ছিল। তবে সেটা অবশ্যই চ্যানেল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধাﷺন্ত। আমাদের কিছু করবার ছিল না’।
গত মাসে হিন্দুস্তান টাইমসকে অভিনেতা শিবাদী সতম জানিয়েছিলেন নতুন করে সিআইডি-কে ফিরিয়ে আনবার পরিকল্পনা রয়েছে প্রযোজকদের। এবার অন্যকোনও ফর্ম্যাটে, তবে এখনও নিশ্চিত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ফের একবার এসিপি প্রদ🌠্যুম্নর জুতোয় পা গলাতে মুখিয়ে রয়েছেন অভিনেতা। বাড়ি বসে বসে ক্লান্ত তিনি, শীঘ্রই দর্শকদের সামনে ফিরতে চান শিবাজী সতম।