বিখ্যাত চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার সম্প্রতি তাঁর মেয়ে, চিত্রনাট্যকার জোয়া আখতারের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকার দেওয়🀅ার সময﷽় শোবিজ ওয়ার্ল্ডের কিছু নতুন ও না বলা গল্প শেয়ার ভাগ করে নিয়েছেন। তাঁরা শিল্প, সাহিত্য এবং সিনেমার প্রতি তাঁদের আবেগের কথা বলেছেন।
বর্তমানে একজন তারকা হতে কী লাগে সে বিষয়েও আলোচনা করেছেন কিংবদন্তি লেখক জাভেদ আখতার। তাছাড়াও স্টারড🅘ম সমাজের উপর কী ভূমিকা পালন করে, তার উপরও জোর দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘শাহরꦕুখের জ𒁃িরো প্রত্যাখ্যান করেছি কারণ…’কেরিয়ার নিয়ে অজানা তথ্য ফাঁস কঙ্গনার
জাভেদ আখতার অমিতাভ বচ্চনের জনপ্রিয় 'অ্যাংরি ইয়াং মেন' এই ভাবমূর্তির পতনের কথাও উল্লেখ করেছেন। অমিতাভের ছবিগুলিতে দেখানো হত রাগ, গভীর আঘাত থেকে তাঁর এই লুক আসতে আসতে তৈরি হ🤪চ্ছে। তখন তাঁর ছবি সাদারণ খেটে খাওয়া মানুষের যাপনের কথা বলত। কিন্তু পরে সময় যত বদলাতে থাকে তত চরিত্রগুলি গভীরতা হারিয়ে যায় শুধুমাত্র রাগই চরিত্রের কেন্দ্রে চলে আসে। ফলে চরিত্রটি শেষ পর্যন্ত বিবর্ণ হয়ে যেতে শুরু করে। জাভেদ আখতার আরও জানান যে, সিনেমায় সামাজিক প্রতিফলন শুধুমাত্র পুরুষ সুপারস্টারদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, জাভেদ আখতার জানিয়েছিলেন যে, কীভাবে শ্রীদেবী এবং মাধুরী দীক্ষিতের মতো প্রতিভাবান অভিনেত্রীদের এমন একটি সমাজিক অবমূল্যায়ন করা হয়েছ💝িল যেখানে তাঁদের সেভাবে মেলে ধরাই হয়নি। তিনি তাঁদের মীনা কুমারী, নার্গিস এবং ওয়াহিদা রহমানের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন, যাদের 'সাহেব বিবি অর গোলাম', 'মাদার ইন্ডিয়া' এবং 'গাইড'- এর মতো ছবিতে আইকনিক ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। জাভেদ আখতার এ প্রসঙ্গে বলেছেন যে, শ্রীদেবী এবং মাধুরী সমানভাবে প্রতিভাবান হলেও তাঁরা একইভাবে সেই জায়গা করে নিতে পারেননি কারণ সেই সময়ে সমাজ নারী কেন্দ্রীক গল্প বলা হত না। তাঁদের আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়া হত না, বলা ভালো নারী চরিত্রের প্রতি আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়া হত না।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে এখনও ভারতীয় সিনেমা আধুনিক নারীর সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব খুঁজে পেতে সংগ্রাম কর🍒ছে। তাই সমসাময়িক নারীদের ছবি তুলে ধরার জন্য তিনি তাঁর মেয়ে জোয়া আখতারের চলচ্চিত্রের প্রশংসা করেছেন। নিজের কথা ভাবলেই কেউ স্বার্থপর হয়ে যায় এমনটা নয়। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে লেখকরা সমাজের অন্ধকারে থাকা এই অংশের কথা তাঁদের চরিত্রে তুলে ধরে চান না। যার ফলস্বরূপ ভালো অভিনেত্রীদের সঠিক মূল্যায়ন হয় না।