বলিউডের ইদ মানেই ভাইজানের ছবি। গত এক🌼 দশকে বক্স অফিসে ইদ আর সলমন খান সমার্থক হয়ে গেছে। ২০২০-র ইদে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল সলমন খানের ‘রাধে..ইয়োর মোস্ট ওয়ান্টেড ভাই’। কিন্তু করোনার জেরে ছবির শেষ পর্যায়ের শ্যুটিং এখনও শুরু করা সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি ছবির এডিটিংয়ের কাজও বাকি পরে রয়েছে। তাই নিঃসন্দেহে ভাইজানের ছবি ছাড়াই এবছর দেশবাসীকে ইদ সেলিব্রেট করতে হবে। কার্যত মুক্তি পিছোচ্ছে প্রভু দেবা-সলমন খান জুটির তিন নম্বর ছবির। পাশাপাশি বলিউডের অপর ইদ রিলিজ-অক্ষয় কুমারের লক্ষ্মী বম্বের মুক্তিও পিছোচ্ছে বলেই খবর বি-টাউনের অন্দরে।
‘২০২০-এর প্রথমার্ধ খুব বাজে কেটেছে বলিউডের, করোনার জেরে মার্চ-এপ্রিলে সব ব্যবসা থমকে গেছে। ফলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও খুব খারাপ। ইদ রিলিজ না থাকার অর্থ হল বড়সড় ক্ষতির মুখে ইন্ডাস্ট্রি’,জানিয়েছেন ট্রেড ဣঅ্যানালিস্ট তরণ আদর্শ।
জানা যাচ্ছে করোনা কাঁটায় প্রথমার্থেই প্রায় ২ꦰ৫০-৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা হারিয়েছে বলিউড। বছরের একমাত্র হিট অজয় দেবগণের তানাজি:দ্য আনসাং ওয়ারিয়র।
‘উত্সবের মরসুমের উপর খুব বেশিভাবে নির্ভরশীল বলিউডের বক্স অফিস। ইদে বক্স অফিস হারানোটা কত বড় ক্ষতির, তা হয়ত অনেকে কল্পনাও করতে পারছেন না। বছরের দ্বিতীয়ার্ধে(এপ্রিল-জুন) বক্স অফিস এখনও খাতায় খুলতে পারেনি🤡!’, জানিয়েছেন ডিস্ট্রিবিউটার-এক্সিপিটর অক্ষয় রাটি। প্রযোজক ভূষণ কুমারের এই বছর ন’টি ছবি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে, ‘তাঁর কথায় এখন সবকিছুই🌳 খুব অন্ধকারময়, কালো দেখাচ্ছে’।
তাহলে কী ২০২০ সাম্প্রতিক সময়ে বলিউডের সবচেয়ে খারাপ বছর হতে চলেছে? আমরা জানি না ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে! কিন্তু মনে হচ্ছে এই আশঙ্কা সত্যি প্রমাণ হবে। সিনেমা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার মতো অবস্থায় মানুষ আপাতত নেই’, এমনটাই মনে করছেন তরণ আদর্শ। অক্ষয় রাঠির কথায় সব সেক্টর যখন এর ফলে ধাক্কা খাচ্ছে, তাহলে আমরা খাব না সেটা সম্ভব? এক্সিবিটর, ডিস্ট্রিবিউটর, প্রযোজক সংস্থা-চলচ্চিত্র ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকটা সেক্টর ধাক্কা খাবে। প্রতিদিনের ব্যবসা মার খাচ্ছে তাঁদের।🐎 সিনেমাহল সবার প্রথম বন্ধ হয়েছে এবং সবশেষে খুলবে-নিঃসন্দেহে পরিস্থিতি উজ্বল নয়’।
সব মিলিয়ে করোনা কাঁটায় বিরাট ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে বলিউড ফিল্ম 🍎ইন্ডাস্ট্রি। আশঙ্কা, চলতি বছর ১৩০০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বি-টাউনকে!