লোকসভা ভোটে জয়ের আনন্দে আত্মহারা কঙ্গনা। মান্ডি থেকে বিজেপির টিকিটে বিপুল ভোটে জিতে দিল্লি রওনা দিতে পৌঁছেছিলেন চন্ডীগড় এয়ারপোর্ট। সেখানেই হেনস্থার মুখে পড়তে হল বিজেপির সদ্য় জয়ী সাংসদকে। এক মহিলা সিআইএসএফ জওয়ানের হাতে এদিন থাপ্পড় খেলেন কঙ্গনা! ঘটনায় হইচই কাণ্ড। 🍸আরও পড়ুন-CISF জওয়ানের চড় কঙ্গনার গালে! কী ঘটেছিল ওখানে? থাপ্পড়ের কারণই বা কী? ভিডিয়োয় জানালেন সাংসদ
🌌সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এই ঘটনায় নিন্দার ঝড়। এর মাঝেই নড়েচড়ে বসল সিআইএসএফ। কুলবিন্দর কৌর নামের ওই মহিলা জওয়ানকে সাসপেন্ড করল সিআইএসএফ। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এই খবর নিশ্চিত করেছেন সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক। তিনি আরও জানান, ওই মহিলা জওয়ানের বিরুদ্ধে স্থানীয় পুলিশ থানায় এফআইআরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
🅘জানা গিয়েছে, দিল্লি যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সিকিউরিটি চেকিং-এর সময় এক মহিলা CISF জওয়ান তারকা সাংসদের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং তিনি নাকি তাঁকে চড় মারেন। এর পরে কঙ্গনার সঙ্গে থাকা একজন পালটা চড় মারেন ওই জওয়ানকে। কিন্তু কী নিয়ে ঝামেলা? কেন কঙ্গনাকে চড় মারেন ওই মহিলা জওয়ান?
𝓡খোদ ওই CISF জওয়ান নিজের মুখেই জানান গোটা ঘটনা। কুলবিন্দর কৌর নামে অভিযুক্ত জওয়ানকে বলতে শোনা গেল, কৃষক আন্দোলনের সময়ে কঙ্গনা যে মন্তব্য করেছিলেন, সেটি তাঁর মোটেই পছন্দ হয়নি। তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘উনি (কঙ্গনা) কি ওখানে বসেছিলেন? উনি যে মন্তব্য করেছিলেন। আমার মা ওই আন্দোলনে বসেছিল।’ মূলত কৃষক আন্দোলনের সময় কঙ্গনা বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন, ১০০ টাকার জন্য দিল্লির রাস্তায় বসে রয়েছেন কৃষকরা। সেই পুরোনো মন্তব্যের জন্যই কঙ্গনাকে চড় মেরেছেন তিনি।
🎉কঙ্গনা বলেছেন, তাঁর কাছে প্রচুর ফোন আসছে। শুভানুধ্যায়ীরা, সংবাদমাধ্যমের বন্ধুরা জিজ্ঞাসা করছেন, তিনি কেমন আছেন। তাঁদের সবাইকে প্রথমেই তিনি জানিয়েছেন, যে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। এর পরে কঙ্গনা বলেন, ‘আজ চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি সিকিওরিটি চেকের সময়ে ঘটেছে। সিকিওরিটি চেক করে যেই বেরিয়েছি, তখন অন্য কেবিনে যে মহিলা ছিলেন, যিনি ওই কেবিনের নিরাপত্তাকর্মী হিসাবে কাজ করছিলেন, সেই CISF জওয়ান মহিলা, উনি পাশ থেকে এসে আমার মুখে মারেন। গালি দিতে শুরু করেন।’
কঙ্গনার♔ বক্তব্য, এর পরে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, এমন কাণ্ড কেন ঘটাচ্ছেন? উত্তরে ওই জওয়ান নাকি বলেন, তিনি কৃষক আন্দোলনের সমর্থক। এর পরে কঙ্গনা জুড়ে দেন, ‘আমি নিরাপদে আছি ঠিকই, কিন্তু আমার চিন্তা, যে আতঙ্কবাদ এবং উগ্রবাদ পঞ্জাবে বাড়ছে, সেটি আমরা কী করে নিয়ন্ত্রণ করব।’
𝓀হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে ৭৪ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন কঙ্গনা।