শীতের রান্না ঘি ছাড়া ভাবাই যায় ন। ঘি🍸 না দিলে কিছু কিছু পদ কোনওমতেই সম্পূর্ণ হয় না। ঘি-ই যেন সেই পদের আসল স্বাদ। অনেকে আবার সব রান্নাতেই ঘি-এর স্বাদ পছন্দ করেন। তেলের বদলে ঘি দিয়ে রাঁধা পদই তাঁদের প্রিয়। যেকোনও পদে শেষ উপকরণ হিসেবে ঘি ছড়িয়ে দিলে তার স্বাদটাই অন্যমাত্রায় পৌঁছে যায়। তবে ঘি শুধু স্বাদে মন ভোলায়, তেমনটাও নয়। বিশেষজ্ঞরা প্রায়ই ঘি-এর পুষ্টিগুণের কথা বলে থাকেন। একাধিক পুষ্টিগুণের কারণে বেশ কিছু রোগ সারাতে ঘি খাওয়ার কথা বলা হয়। আয়ুর্বদ শাস্ত্রে বেশ কিছু রোগ নিরাময়ে ঘি ব্যবহারের উল্লেখ রয়েছে। আয়ুর্বেদ মতে, এটি ত্বক ও স্মৃতিশক্তির জন্য উপকারী। পাশাপাশি এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। শীতে ঘি খাওয়া কেন জরুরি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ ডাঃ নুপুর পাতিল।
১. শরীর গরম রাখে: ঘি অনেক উচ্চ তাপমাত্রায় বাষ্পীভূতꦕ হয়। তাই শীতকালে খাবারে ঘি দিলে তা শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে।
২. পেট ভালো রাখে: বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ঘি-এর মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি গ্যাস্ট্রিক রস। এই গ্যাস্ট্রিক রসগুলো আমাদের অন্ত্রের মধ্যেও থাকে। এদের প্রধান কাজ খাবারের কণা ভেঙে তা হজম করতে সাহায্য করা। ত⭕াই খাবারের সঙ্গে ঘি থাকলে হজমেরও সুবিধা হয়।
৩. সর্দি কাশি কমায়: আয়ুর্বেদ মতে, ঘি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ঘি-এর বিশেষ গুণের জন্য সর্দি কাশির ওষুধ হিসেবে এটি নিয়মিত ব্যবহার হয়। নাসিকাগহবরে এক ফোঁটা বিশু﷽দ্ধ ঘি ঢাললে সঙ্গে সঙ্গে সর্দি থেকেꦉ রেহাই মেলে।
৪. ত্বক আর্দ্র করে: ত্বক আর্দ্র রাখতে ঘি বিশেষ ভূমিকা নেয়। ঘি-এর মধ্যে রয়েছে কিছু প্রয়োজনীয় ফ্যাট। এই ফ্যাটগুলো ত্বক𒆙ের পর্দায় প্রবেশ করে ভিতর থেকে ত্বককে আর্দ্র রাখে। এছাড়াও মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে গে🐎লে তাও আর্দ্র রাখে ঘি।
কীভাবে খাবেন?
- রান্নায় তেলের পরিবর্তে ঘি ব্যবহার করা যেতে পারে। বেশিরভাগ রান্নাই ঘি-এর ব্যবহারে সুস্বাদু হয়ে ওঠে।
- স্যুপ বা ডাল পরিবেশনের আগে তার মধ্যে এক চামচ ঘি মিশিয়ে নিলে অপূর্ব খেতে লাগে।
- বেশকিছু রান্নায় মাখন ব্যবহার হয়। মাখনের পরিবর্তে ঘি ব্যবহার করতে পারেন। এতে রান্নার স্বাদও বেশ ভালো হবে।