উচ্ছে বা করলার নাম শুনলে শুধু শিশুরা নয়, বড়রাও মুখ ঘুরিয়ে নেন অনেক সময়ে। কিন𒁃্তু শুধুমাত্র এই করলাই আপনাকে অনেক ক্ষতিকর রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে। আয়ুর্বেদ অনুসারে, প্রতিদিন উচ্ছে খাওয়া বা করলার রস পান করা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কারণ এটি ডায়াবিটিস এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে লিভারের উপর নেতিবাচক প্রভাবও কমাতে পারে। তাহলে🌠 আসুন জেনে নিই করলার রস আমাদের শরীরের জন্য এত উপকারী কেন।
করলায় খুব কম ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে। এছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি রয়েছে। তাই এটি ওষুধ হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। করলাতে উপস্থিত ওলিওনিক অ্যাসিড গ্লুকোসাইড চিনিকে রক্তে দ্রবীভূত হতে বাধা দেয়। (আরও পড়ুন: বর্ষাকালে দই খাওয়া কি ঠিক? আয়ুর্বেদ কী বলছে শুনলে চমকে যাবেন)
এছাড়াও উচ্ছে বা করলার অনেক গুণ রꦿয়েছে। দেখে নিন, সেগুলি কী কী।
- ত্বককে উজ্জ্বল করে: ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব মলিকুলার সায়েন্স ২০১৭-র রিপোর্ট অনুযায়ী, উচ্ছে বা করলা ভিটামিন এ, ভিটামিন সি-এর মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। যা ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
- ওজন কমাতে সাহায্য করে: করলার রস ওজন কমাতেও ব্যবহার করা হয়। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে এবং এতে হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এছাড়াও, কম ক্যালোরির কারণে, এটি ডায়েটে একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প।
- ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে: করলার রস ডায়াবিটিসের জন্য একটি ওষুধ। আয়ুর্বেদ অনুসারে করলার রস পান করলে, আপনার গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই ডায়াবিটিস রোগীদের করলার রস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
- ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে: করলার রসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি পাওয়া যায়। যার কারণে এটি খেলে অনেক ক্ষণ খিদে পায় না।
- হজম ক্ষমতা বাড়ে: আয়ুর্বেদ অনুসারে, করলাতে যে পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, তা আপনার পরিপাকতন্ত্রকে যেমন সুস্থ রাখে, তেমনি এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায্য করে। ফলে হজম ক্ষমতা বাড়ে।
এ তো 𒀰গেল উপকারের কথা। কিন্তু কারা উচ্ছে খাবেন না বা করলার রস পান করবেন ෴না?