💙 সুযোগ পেলে সময় জমিয়ে পেটপুজো বাঙালির বিশেষত্ব। একদিকে পকোড়া তো অন্যদিকে গরম গরম চা, যেন স্বর্গের স্বাদ। কিন্তু, একসঙ্গে এত ভাজা খাবার খেলে হজমে ব্যাঘাত ঘটতেও বেশি সময় লাগে না। পরবর্তী কয়েকদিন ধরে, যে কোনও কিছু খাওয়ার পর, পেটে গ্যাস তৈরি হতে থাকে, অ্যাসিডিটি দেখা দেয় এবং পেটও ফুলে যায়। যদি আপনিও এইভাবে ঘন ঘন গ্যাসের সমস্যায় ভুগেন, তাহলে এখানে জেনে নিন কীভাবে এই গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। রান্নাঘরের কিছু মশলা আছে যা পেটের এই সমস্যা দূর করতে আশ্চর্যজনকভাবে কাজ করে।
গ্যাস দূর করার জন্য মশলা পেটের গ্যাস দূর করার জন্য মশলা
জোয়াইন: ༺জোয়াইন এমন একটি মশলা যার আয়ুর্বেদিক বৈশিষ্ট্য পেটের সমস্যা দূর করতে আশ্চর্যজনক প্রভাব ফেলে। এটি পেটের গ্যাস দূর করে, অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় এবং এই বীজগুলি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতেও কার্যকর। জোয়াইন জলও তৈরি করে পান করা যেতে পারে। এই জলটি হালকা গরম গরম পান করুন। পেট আরাম পায় এবং হজমের উন্নতি শুরু হয়।
মৌরি বীজ: ꧒মৌরি পেটে শীতলতা আনে। মৌরি খেলে হজমে উপকার হয়, পেশী শিথিল হয়, গ্যাস কমে, পেট ফুলে যাওয়া নিরাময় হয়, বদহজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, পেট থেকে নোংরা ব্যাকটেরিয়া দূর হয় এবং পাচনতন্ত্র ডিটক্সিফাই করা সহজ হয়। এমন পরিস্থিতিতে, যখনই আপনার পেট ফুলে উঠবে, তখনই আপনি এক চামচ মৌরি চিবিয়ে খেতে পারেন। সেই কারণেই রেস্তোরাঁ বা হোটেলে খাবারের পরে মৌরি পরিবেশন করা হয়। পেটের গ্যাস দূর করতে মৌরির পানিও পান করা যেতে পারে।
জিরে: ꦕহজম ব্যবস্থার জন্য উপকারি মশলার মধ্যে জিরেও অন্তর্ভুক্ত। জিরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। জিরে বীজে উপকারি ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থও রয়েছে। এটি আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থের একটি ভালো উৎস। জিরে খেলে পেটে গ্যাসের গঠন কমে। দই বা বাটারমিল্কের সঙ্গে জিরে গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলেও গ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আপনি যদি চান, তাহলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে জিরে জল পান করার অভ্যাস করতে পারেন। এটি কেবল পেটের সমস্যাই কমায় না, এর চর্বি পোড়ানোর বৈশিষ্ট্য ওজন কমাতেও কার্যকর। জিরে জল তৈরি করতে, এক চা চামচ জিরে সারারাত এক গ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখুন এবং পরের দিন সকালে এই জল গরম করে খালি পেটে জল করুন।
মনে রাখবে হবে
- যদি আপনার প্রায়শই পেটে গ্যাস তৈরির সমস্যা হয়, তাহলে আপনার ছোট ছোট অভ্যাসও এর কারণ হতে পারে। খাবার সঠিকভাবে চিবিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- একবারে খুব বেশি খাওয়ার পরিবর্তে, খাদ্য নিয়ন্ত্রণের উপর মনোযোগ দিন এবং অল্প অল্প করে খান।
- নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন।
- ব্যায়ামের মাধ্যমে পেটের সমস্যাও দূর হয়।
𓄧ডিসক্লেমার: এই প্রতিবেদনের তথ্য সাধারণত পরামর্শমূলক। সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে এই খবর। বিস্তারিত জানতে, পরবর্তী যে কোনও পদক্ষেপ করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।