২০২৪ সালে ভারতবাসী স্বাধীনতার ৭৭ তম বর্ষ উদযাপন করবে। তবে যে মানুষগুলির নিঃস্বার্থ বলিদান ভারতকে এনে দিয়েছিল স্বাধীনতা, তাঁদের মধ্যে কিছু মানুষ ছাড়া বাকিদের ꧑কেউ সেই ভাবে চেনেন না। কিন্তু এই অচেনা স্বাধীনতা🤡 সংগ্রামীদেরও বলিদান কম নয় ভারতের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে।
আমরণ অনশন, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা ফাঁসির মত শাস্তির ঘটনা বারবার উঠে এসেছে ভারতের স্🧸বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে। কিন্তু সেই সময় ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবীদের আরও একটি শাস্তি দেওয়ার প্রচলন ছিল, সেটি হল কালাপানি।
কালাপানি কথাটির অর্থ হলো কোনও অচেনা নির্জন দ্বীপে নির্বাসন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাঠানো হতো বঙ্গোপসাগর নিকটবর্তী আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ অবস্থিত আন🐲্দামান সেলুলার জেলে। ১৮৫৭ সালের সংগঠিত সিপাহী বিদ্রোহের সময় থেকেই আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জকে বন্দী শিবির হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছিল ব্রিটিশরা।
(আরও পড়ুন: নিজের ক্ষতি করেও অন্যকে খুশি🌊 করতে চান আপনি?✃ জানেন কেন করেন এই কাজ
যে সমস্ত বিখ্যাত বিপ্লবী আন্দামান সেলুলার জেলে নিজেদের জীবনের একটি অংশ কাটিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বটুকেশ্বর দত্ত, উল্লাস কর দত্ত, বিনায়ক দামোদর সাভারকর, দিওয়ান সিং কালেপানি, ফজলে হক খায়রাবাদী, যোগেন্দ্র শুক্লা, হেমচন্দ্র দাস, গনেশ ঘোষ, অনন্ত সিংহ, লোকনাথ বল, মহারাজ ত্রৈলক্যনাথ চক্রবর্তী, বারিন্দ্র কুমার ঘোষ, যꦚতীশ চন্দ্র পাল।
১৯৩৭ থেকে ৩৮ সালের দিকে মহাত্মা গান্ধী এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মধ্যস্থতায় ব্রিটিশ সরকার মুক্তি কামি কয়েদিদের স্🅰থানান্তরিত করার উদ্যোগ নেন। ১৯৪২ সালে জাপান সরকার আন্দামান দ্বীপুঞ্জ থেকে ব্রিটিশদের বিতাড়িত করে। ঠিক তার পরের বছর ১৯৪৩ সালের ৭ই নভেম্বর সুভাষচন্দ্র বসু তাঁর আজাদ হিন্দ ফৌজ নিয়ে আন্দোলন নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ দখল করে স্বাধীন ভারতের পতাকা উত্তোলন করেন, নাম দেন ‘শহীদ এবং স্বরাজ দ্বীপপꦯুঞ্জ’।
(আরও পড়ুন: আলিয়া, খুশির পর এবার অনন্যা! হিপ থ্রাস্ট করꦿতে করতে তুললেন ১২০ কেজি)
এই ঘটনা ঠিক দু'বছর পর ১৯৪৫ সালে ব্রিটিশ সরকার পুনরায় এই দ্বীপ দখল করে নেন। যদিও ততদিনে ভারতে ইংরেজ শাসনের সময় প্রায় শেষের দিকে এসে গিয়েছিল তাই সেলুলার জেলের সমস্ত বন্দিকে মুক্তি দিয়ে উপনিবেশটিও চিরকালের জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন ব্রিটিশ সরকার। তবে ইতিহাসের পাতায় চিরদিন অমলিন হয়ে থাকবে সেলুলার জেল এবং সেখানে বꦅন্দীদের ওপর হওয়া অত্যাচারের কাহিনী।