এবারের পুজোয় শহরের কোলাহল থেকে বহু দূরে কোনও নিরিবিলি জায়গায় বেড়ানোর প্ল্যান থাকলে কলকাতা থেকে মাত্র কিছু ঘণ্টা দূরে অবস্থিত বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন গনগনি ঘু🐼রে আসতে পারেন। পুজোর মুখে কাশের সাজে ধীরে ধীরে সেজে উঠছে গনগনি। পুজোর দিনে আকাশ পরিষ্কার থাকলে শীলাবতীর নদীর তীরে গনগনি মন꧟ জুড়িয়ে দিতে পারে।
পুজোর দিনে যদি হঠাৎ গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়ার প্ল্যান𒉰 থাকে, তাহলে সক্কাল সক্কাল উঠেই পশ্চিম মেদিনীপুরের গনগনির পথে বেরিয়ে পড়তে পারেন। শহর থেকে মফঃস্বলের দিকে যেতেই দু'একটা পুজো মণ্ডপে ভিড়-হীনভাবে ঠাকুর♍ও দেখে নিতে পারেন। গুগল বলছে, কলকাতা থেকে গনগনি যেতে ৪ ঘণ্টা ১১ মিনিট লাগার কথা। ঘাটাল রোড এবং এনএইচ ১৬ ধরে গেলে, এই সময় লাগার কথা। এবার আসা যাক গনগনির কথায়।
শীলাবতী নদী তার চলার পথে এই ভূমিরূপ তৈরি করেছে। নদীর তীরের উঁচু নিচু ভূখণ্ড ঘেরা এই এলাকা প্রকৃতির রূপকে তিলে ত🥃িলে উপভোগ করার সুয💟োগ দেয়। চোখ মেললে দেখা যাবে কিছু গুহা-সদৃশ ভূমিরূপ। স্থানীয়দের বিশ্বাস এই গুহায় বকাসুরের বাস ছিল, যাঁকে বধ করেছিলেন ভীম। অনেকেই বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ের নানান ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে এই গনগনিতে। এই এলাকায় সূর্যাস্তের সময় মন জুড়িয়ে দেয় শীলাবতীর রূপ চোখ জুড়িয়ে দেয়।
( Durga Puja 2024: 🧸নবমীর ধুনুচি নাচে পাড়া কাঁপাতে চান? এই ছোট্ট টিপস খেয়াল 🍃রাখলেই কেল্লাফতে!)
কীভাবে যাবেন গনগনি?
সড়কপথে যেতে গেলে, কলকাতা থেকে আর♋ামবাগ হয়ে যেতে পারেন। বিকল্প হিসাবে কোলাঘাট, শালবনি হয়ে চন্দ্রকোণা রোড ধরে নিতে পারেন। যদি ট্রেনে যেতে চান, তাহলে পুরুলিয়াগামী আরণ্যক বা রূপসী বাংলা ট্রেনগুলি ধরে নিতে পারেন। নামতে হবে গড়বেতা স্টেশন। সেখান থেকে রিকশা কিম্বা টোটো পেয়ে যাবেন। কলেজ মোড় থেকে গনগনি দেড় কিলোমিটার মতো। গোটা এলাকা ঘুরতে পারেন হেঁটেই।
কোথায় থাকবেন?
অনেকেই গনগনি দেখতে গিয়ে রাতিরি♋ যাপন করে নেন গড়বেতাতে। এছাড়াও কলেজমোড়ে একটি আশ্রম রয়েছে, অনেকে সেখানেও থেকে যান।