HT Bangla Special: হার্টের সমস্যা থাকলে আর ডাক্তার ওজন কমানোর পরামর্শ দিলে অনেকেই বেরিয়ে পড়েন সকাল সকাল। কিন্তু হাঁটবেন না জগিং করবেন? কোনটি শরীরের জন্য বেশি উপকারী? বিশেষ করে হার্টের রোগীদের জন্য কোনটি নিরাপদ? হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করলেন বিএম বিড়লা হার্ট হাসপাতালের সিনিয়র কার্ডিয়াক সার্জেন চিকিৎসক মনোজকুমার দাগা।
হাঁটা না দৌড়ানো — কোনটা নিরাপদ?
🍃হার্টের রোগীদের জন্য দৌড়োনোর চেয়ে হাঁটা সবসময়ই ভালো বলে মত চিকিৎসক মনোজকুমার দাগার। তাঁর কথায়, ‘যাঁরা হার্টের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা ব্রিস্ক ওয়াকিং বা দ্রুতগতিতে হাঁটার অভ্যাস করুন। দৌড়োনোর চেয়ে এই অভ্যাস বরাবরই ভালো। কারণ দৌড়োলে খুব সহজেই হাঁফিয়ে পড়তে পারেন। তাছাড়াও, দৌড়োলে হার্ট রেট কম সময়ের মধ্যে অনেকটা বেড়ে যায়। যা হার্টের রোগীদের জন্য মোটেই ভালো নয়।’ তবে একই সঙ্গে রোজ অন্তত ৪০ মিনিট হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক।
আরও পড়ুন - 🤪‘কালেকশন করতে ব্যস্ত’, ‘চোখ সবসময় ফোনে’! বারবার দুর্ঘটনায় পুলিশের দিকেও আঙুল
হার্ট রেট কত হলে বিপজ্জনক?
♊জিম করতে করতে তরুণদের হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বেশ কয়েকবার খবরে এসেছে। দ্রুত বেড়ে যাওয়া হার্ট রেট এমন মৃত্যুর জন্য দায়ী হতে পারে বলে মত চিকিৎসকের। কার্ডিয়াক সার্জেন জানাচ্ছেন, ‘এক্ষেত্রে হার্টের উপর ভীষণ চাপ পড়ে। হার্ট ততটা দ্রুত ব্লাড পাম্প বা রক্ত সঞ্চালন করতে না পারলে সঙ্গে সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক বা হার্ট ফেলিওর ঘটে।’ তাই ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করতে করতে হার্ট রেটের দিকেও নজর রাখা জরুরি। এক্ষেত্রে হার্ট রেটের একটি নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে বলে জানালেন চিকিৎসক। ‘একজনের বয়স যত, তার সঙ্গে ১০০ যোগ করলে যা হয়, সেটাই একজনের সর্বোচ্চ হার্ট রেট হওয়া উচিত। এটি পেরিয়ে গেলে দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি থাকে।’
আরও পড়ুন - ⛦হার্টের রোগীদের বাদাম খাওয়া কতটা ভালো? HT বাংলায় আলোচনা করলেন চিকিৎসক
যারা হার্টের রোগী তাদের…
💝যাদের হার্টের রোগী তাদের ক্ষেত্রে অবশ্য এই নিয়ম খাটবে না বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক। সেক্ষেত্রে ‘হার্ট রেট ১২৫ পেরিয়ে গেলেই বিপজ্জনক। নজরে রাখতে হবে যেন ব্যায়ামের সময় ওর মধ্যেই থাকে হৃদস্পন্দনের হার। নয়তো হার্টের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে।’
শুধু হাই ব্লাড প্রেশার থাকলেও
꧂হার্টের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু ডাক্তার দেখানোর পর জানা গিয়েছে শুধু উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। এক্ষেত্রেও কি হাঁটা বা দৌড়ানোর ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া জরুরি? মনোজকুমার দাগা জানাচ্ছেন, ‘ভীষণভাবে জরুরি। শুধু উচ্চ রক্তচাপ অনেকদিন ধরে যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে, হার্টের সমস্যা দেখা দিতে বাধ্য। তাই ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতেও একই নিয়ম মেনে চলা দরকার। ’
প্রতিবেদনটি চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে তাঁর মতামতের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। ব্যক্তিবিশেষ অনুযায়ী অনেক ক্ষেত্রেই বদলে যায় চিকিৎসা পদ্ধতি। তাই যে কোনও সমস্যায় শুধুমাত্র এই প্রতিবেদনের কথায় ভরসা না রেখে, ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসকের বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।