HT Bangla Special: হার্টের জন্য বাদাম বেশ উপকারী খাবার, এমনটাই বলে থাকেন চিকিৎসকরা। কিন্তু হার্ট ফেলিওর বা হার্টের রোগীদের জন্যও কি এই বাদাম সমানভাবে উপকারী? নাকি খাওয়ার আগে তাদের কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলা জরুরি? বাদামের গুণমান ও খাওয়ার ব্যাপারে বিধিনিষেধ নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে বিস্তারিত কথা বললেন বিএম বিড়লা হার্ট হাসপাতালের চিকিৎসক ধীমান কাহালি।
হার্টের রোগীদের জন্য বাদাম আদৌ ভালো?
𓆏‘হার্টের জন্য এমনিতে বাদাম যথেষ্ট উপকারী।’ তবে চিকিৎসক ধীমান কাহালির কথায়, ‘হার্ট ফেলিওর বা অন্যান্য হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কিছু নিয়ম মেনে চলা ভালো। বাদাম সাধারণত একটু নোনতা গোছের হয়, যা এমন রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হলেও হতে পারে। সাধারণ বাদাম ছাড়াও, পেস্তা বা অন্য কিছু কিছু বাদামে প্রচুর পরিমাণে নুন দিয়ে মুখরোচক করা হয়। হার্টের রোগ থাকলে এই নুন খাওয়া এড়িয়ে চলা জরুরি। সেক্ষেত্রে খাওয়ার আগে নুন ঝেড়ে নেওয়া ভালো। একেবারে নুন না থাকলেও খেতে ভালো লাগে না। তাই খুব সামান্য নুনই যথেষ্ট এক্ষেত্রে।’
কিডনির রোগ আছে যাদের
💜হার্টের জন্য বাদাম ভালো হলেও শরীরে অন্য কোনও রোগ আছে কি না দেখা জরুরি। অনেক সময় দেখা যায়, হার্টের রোগীদের মধ্যে কেউ কেউ ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা সিকেডি-তে ভোগেন। চিকিৎসকের কথায়, ‘তেমন পরিস্থিতিতে কিন্তু বেশি বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। কিডনির সমস্যা থাকলে অনেক রোগীকে প্রোটিন রেস্ট্রিকশনে থাকতে হয়। তাই চাইলেই কাজু, আমন্ড, আখরোটের মতো বাদাম ১০-১২টা খেয়ে ফেলা যাবে না। ২-৪টের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে খাওয়া।’
নজর থাকুক ওজনে
🍌বাদামের হার্টের জন্য ভালো। কিন্তু একই সঙ্গে মনে রাখতে হবে বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট রয়েছে। যদিও এই ফ্যাট মনোআনস্যাচুরেটেড ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। অর্থাৎ ভালো ফ্যাট। কিন্তু ওজন বাড়লে হার্টের উপর তার প্রভাব পড়ার একটা সম্ভাবনা থেকেই যায়। তাই বাদাম খাওয়ার পাশাপাশি ওজন বাড়ছে কি না সেদিকে নজর রাখতে হবে।
প্রতিবেদনটি চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে তাঁর মতামতের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। ব্যক্তিবিশেষ অনুযায়ী অনেক ক্ষেত্রেই বদলে যায় চিকিৎসা পদ্ধতি। তাই যে কোনও সমস্যায় শুধুমাত্র এই প্রতিবেদনের কথায় ভরসা না রেখে, ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসকের বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।