চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ হাসিনার নামাঙ্কিত হস্টেলে ঢুকে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের প্রতিবাদ করায় সম্প্রতি বহিষ্কৃত হয়েছেন ১০ জন ছাত্রী। তাঁদেরই মধ্যে ৫ জন গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক সব কথা বলেন। এরই সঙ্গে এই গোটা ঘটনার দায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ঘাড়ে চাপান তাঁরা। এই আবহে প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মহম্মদ হায়দার আরিফের পদত্যাগের দাবি জানান তাঁরা। ছাত্রীদের অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় নারীদের নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য রেখেছে প্রক্টর। এমনকী প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরাও ছাত্রীদের গালিগালাজ করেছেন বলে অভিযোগ ছাত্রীদের। (আরও পড়ুন:🔯 সীমান্তে কাঁটাতার জট কাটবে? বাংলাদেশি উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জয়শংকর)
আরও পড়ুন: ♛'প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে', যৌথ অর্থনীতি গড়ে তুলতে ভারতের হাত ধরার বড় বার্তা ইউনুস
উল্লেখ্য, প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসিনার নামাঙ্কিত মহিলা হস্টেলে ঢুকে পড়ে 'বিপ্লবী' ছাত্রদের একটি দল। সেই সময় হলের ভিতরে ঢুকে ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়। এরই সঙ্গে হস্টেলের সামনে থেকে হাসিনার নামের নামফলক খোলা হয়। এদিকে রাতে মহিলা হস্টেলে ঢুকে পড়ুয়াদের এই তাণ্ডবের প্রতিবাদ করেন কয়েকজন ছাত্রী। তাঁরা নেহাতই নিরাপত্তাহীনতার কারণেই সেই প্রতিবাদ করেছিলেন। এর জেরে তাণ্ডব চালানো 'বিপ্লবীদের' সঙ্গে বচসাও হয় ছাত্রীদের। এরপর সেই ছাত্রীদের 'হাসিনাপন্থী' আখ্যা দেওয়া হয়। এরপর তাঁদের বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃত ছাত্রীদের মধ্যে ৫ জন - রওজাতুল জান্নাত, উম্মে হাবিবা বৃষ্টি, সুমাইয়া শিকদার, মাইসারা জাহান ও জান্নাতুল মাওয়ারা ১৬ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লিখিত বিবৃতি পাঠ করেন। (আরও পড়ুন: 𒉰'মনে হল যেন ট্রেন দুর্ঘটনা...', ভূমিকম্পে কাঁপল দিল্লি, আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ)
𒅌বহিষ্কৃত ছাত্রীরা বলেন, 'গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে হলের সামনে একদল শিক্ষার্থী ভাঙচুর করতে আসে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। কিন্তু এই ঘটনায় ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের একপাক্ষিকভাবে দোষারোপ করা হয়েছে। সেদিন রাত সাড়ে ১১টায় বেশ কিছু শিক্ষার্থীর একটি জটলা মিছিল নিয়ে হলের সামনে এসে সরাসরি ভাঙচুর শুরু করে। এ ঘটনা হস্টেলের নারী ছাত্রীদের সঙ্গেও অশোভন আচরণ করা হয়। হস্টলে থাকা আবাসিক ছাত্রীদের উদ্দেশে স্লোগান দেওয়া হয়। নানা ধরনের নারীবিদ্বেষমূলক কটূক্তি করা হয়। প্রচণ্ড হট্টগোল ও ভাঙচুরের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে ছাত্রীরা তখন নীচে নেমে আসেন। তখন একজন হামলাকারী পড়ুয়া ছাত্রীদের ভিডিয়ো তুলতে শুরু করেন। মেয়েরা প্রতিবাদ জানাতে পাশের ছোট গেটের তালা ভেঙে মূল ভবনের বাইরের হলে আসেন। আমাদের 'হাসিনার দোসর', 'ফ্যাসিস্ট' আখ্যা দেওয়া হয়।'
ౠছাত্রীদের দাবি, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তারা একাধিক হস্টেলের নাম বদল, ফ্যাসিস্ট শাসকের চিহ্ন সরানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। তবে তাতে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। আর এখন হস্টেলের ছাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই আবহে প্রক্টরিয়াল বডির অপসারণ এবং ছাত্রীদের শাস্তি প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।