উৎপল পরাশর
কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈয়ের স্ত্রী ব্রিটিশ নাগরিক এলিজাবেথের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগে এক পাকিস্তানি নাগরিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে এবং দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের উপর ওღই সংগঠনের কোনও প্রভাব রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য রবিবার অসম মন্ত্রিসভা রাজ্য পুলিশকে নির্দꦆেশ দিয়েছে।
কয়েকদিন আগেই অসমেꦕর মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের ছেলে গৌরব গগৈকে নিশানা করে বলেছিলেন, কংগ্রেস নেতার স্ত্রী এবং পাক জাতীয় সংগঠনের সঙ্গে তাঁর কাজের কারণেই তিনি (গৌরব গগৈ) সংসদে ভারতের পরমাণু কর্মসূচি ও প্রতিরক্ষা ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
হিমন্🐟ত বিশ্ব শর্মাᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর বলেন, 'ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানভিত্তিক এক নেতা ও একটি ক্লাইমেট অ্যাকশন গ্রুপের ব্যক্তির সুস্পষ্ট জড়িত থাকার বিষয়ে অসম মন্ত্রিসভা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা অলাভজনক সংস্থা লিড পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা আলি তৌকির শেখের কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেছিলেন যে এলিজাবেথ গগৈ ইসলামাꦇবাদে থা🦩কাকালীন লিড পাকিস্তানের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিলেন।
তিনি বলেছিলেন যে শেখ এবং এলিজাবেথ গগৈ উভয়ই জলবায়ু ও উন্নয়ন জ্ঞান নেটওয়ার্ক (সিডিকেএন) নামে একটি গ্লোবাল ক্লাইমেট অ্যাকশন গ্রুপের অংশ ছিল♌েন, যা ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশেই কাজ করে।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে অসমে এই ইস্যুর বৃহত্তর জাতীয় সুরক্ষা জড𝓰়িত থাকার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য মন্ত্রিসভা অসমের ডিজিপিকে (পুলিশের মহাপরিচালক) ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক আইনের যথাযথ বিধানের অধীনে শেখের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছে।
উপরন্তু, অসম মন্ত্রিসভা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে যে এই ক্রিয়াকলাপগুলি কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা তা খতিয়ে দেখতে এবং আসাম এবং সারা ভারতে শেখের ভারত বিরোধী এজেন্ডায় সহা♈য়তা করতে পারে এমন কোনও সহানুভূতিশীল বা সহযোগীকে চিহ্নিত করতে।
তদন্তে অসম ও ভারতের অভ্যন্তরে শেখের নে🧔টওয়ার্ক খতিয়ে দেখতে পারে এবং অসম ও ভারতের বাকি অংশে বসবাসকারী ব্যক্তি, সংগঠন ও সহযোগীদের খতিয়ে দেখতে পারে, যারা ভারতের বিরুদ্ধে শেখের কর্মকাণ্ডে সহায়তা ও প্ররোচনা দিয়েছে। তদন্ত চলাকালীন ভারত ও অসম সরকারের এজেন্সি ও ডিপার্টমেন্টের কাছে তথ্য চাইতে পারে তদন্তকারীরা।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, অসম মন্ত্রিসভ🌠া ভারতের সুরক্ষা ও সার্বভৌমত্বের স্বার্থে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে অনুসরণ করা হবে বলে আশা করেছিল, উল্লেখ করে যে অসম ঐতিহাসি🍰কভাবে (পাকিস্তানের) আইএসআই (ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স) কার্যক্রমের হটস্পট হিসাবে রয়ে গেছে।
"আমরা আশা করি যেহেতু এলিজাবেথ গগৈ, যিনি একজন ব্রিটিশ নাগরিক এবং অসমের একজন সাংসদের স্ত্রী, তাই তিনি এই তদন্তে সহযোগিতা করবেন এবং তার পাসপোর্ট, ভিসা এবং ভ্রমণের নথি তদন্তকারী দলকে দেবেন।ꦡ আশা করা যায়, গৌরব গগৈ যদি তাঁর বক্তব্য জানতে চান, তাহলে তিনি সংসদে উত্থাপিত প্রশ্নের, বিশেষ করে ভারতের পরমাণু মাথাদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনও যোগসূত্র থাকলে তা জানাবেন।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, গৌরব গগৈয়ের স্ত্ꦬরী ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করেছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকার কেন্দ্রকে চিঠি দেবে, কারণ তিনি ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে দুটি লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন, যখন তিনি অসমের কালিয়াবর আসন থেকে সফলভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
শর্মা বলেছিল🦩েন যে গগৈ যদি আদালতের দ্বারস্থ হন বা উত্থাপিত বিষয়গুলির বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেন তবে ভা♈ল হবে। তিনি বলেন, 'আমরা অনেক বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে পারি না। তবে বিষয়টি যদি আদালতে যায় তবে অসম সরকার এটিকে স্বাগত জানাবে কারণ আদালতের নির্দেশ অনুসারে সমস্ত বিষয় প্রকাশ করতে হবে।
তিনি বলেন, কেউ একটি রাজনৈতিক দলের নেতা বলেই আমরা দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করতে পারি না। আমি পৃথকভাবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং দলের রাজ্য ইউনিট প্রধান ভূপেন কুমার বোরাহকে এ🥃কটি চিঠি লিখছি যাতে উল্লেখ ক🥃রা হয় যে আমরা যা কিছু করছি তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, দেশের সুরক্ষা ও সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার জন্য।
হিমন্ত বি🃏শ্ব শর্মা বলেন, ২০১৫ সালে নয়াদিল্লিতে ভারতে পাক হাই কমিশনে গগৈয়ের সফর নিশ্চিত হয়ে গেছে এবং তার পরে কংগ্রেস সাংসদ ভারতের পরমাণু শক্তি এবং প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত বিষয়🍬গুলি নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
তিনি বলেন, 'অসমের একজন সাংসদ কেন মেঘালয়ে ইউরেনিয়াম মজুদের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান বা কোন কোন দেশ আমাদের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন করছে? এগুলো গুরুতর জাতীয়ꦫ উদ্বেগের বিষয়🐽।
এমনকি সোনিয়া গান্ধীও ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন। কেন আপনি (এলিজাবেথ) একই কাজ করতে পারেন না? এটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার, কিন্তু একজন🅘 বিদেশি নাগরিক হয়ে আপনি কি ভারতের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে পারেন? এ নিয়ে আমি অবশ্যই প্রশ্ন তুলতে পারি। তাদের আদালতে বা পুলিশের কাছে জবাবদিহ🧜ি করতে হবে। অন্যথায় কেন্দ্রকে তাঁর ভিসা বাতিল করতে বলার পূর্ণ অধিকার আমাদের রয়েছে।
এর আগে, সংবাদমাধ্যম, সোশ্ꦬযাল মিডিয়া পোস্ট এবং জনসমক্ষে থাকা অন্যান্য তথ্য উদ্ধৃত করে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন যে শেখ অসমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার ল𝓀ক্ষ্যে মন্তব্য করছেন।
তিনি বলেন, তার সোশ্যাল মিডিয়া সক্রিয়ভাবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিস্তৃত মন্তব্য অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং সংসদীয় সদস্যরা ভারতের স্বার্থের সাথে আপস ও ক্ষতি করার উক্ত ব্যক্তির অভিপ্রায় সম্পর্কে গুর🧜ুত🦩র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
শর্মা শেখকে ‘পাকিস্তান সরকার এবং এর নেতৃত্বে বিস্তৃত শিকড়যুক্ত একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হ🐬িসাবে অভিহিত করেছেন,🌜 যিনি আন্তর্জাতিক ফোরামে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেছেন’।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'সোশ্যাল মিডিয়ার কার্যকলাপ এবং জনসমক্ষে আসা তথ্যগুলি খতিয়ে দেখার পরে মনে হচ্ছে শেখ ব্রিটিশ নাগরিক এবং আসামের লোকসভার সাংসদ গৌরব গগৈয়ের স🏅্ত্রী এলিজাবেথ গগৈয়ের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন।
গৌরব গগৈ তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে শর্মা এবং আরও🦋 কয়েকজন বিজেপি নেতার উত্থাপিত অভিযোগ ও পরোক্ষতাকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে যথাযথ আইনি ব্য🦂বস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এই সব করা হচ্ছে কারণ এখন থেকে ১২ মাস পরে অসমে নির্বাচন হবে এবং বিজেপি সরকারের দেখানোর মতো কোনও পারফরম্যান্স নেই। তারা তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে অক্ষম এবং তাদের ব্যর্থতা ঢাকতে তারা একটি দুষ্টু এবং বিদ্বেষপূর্ণ, ভিত্তিহীন, সত্য কম অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং আম🍨রা অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
একই সঙ্গে অসমের জনগণের প্🐟রজ্ঞার ওপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে, যা তারা এই সুস্পষ্🌊ট অপপ্রচারের মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছেন।