মান্যগণ্য ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত নানা কাজ করে দেওয়ার জন্য পরিচরিকা থাকেন। তবে বাতকর্মের দায় নেওয়াও একরকম কাজের মধ্যেই পড়ে! অন্তত তেমনটাই রীতি ছিল জাপানে। বিভিন্ন উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের স্ত্রী কন্যাদের জন্য এই বিশেষ মহিলাদের নি🎃য়োগ করা হত। হিকোবুকিনি ছিলেন তেমনই এক মহিল🎐া।
কী ছিল তাঁর কাজ?
হিকোবুকিনি বিভিন্ন সম্ভ্রান্ত পরিবারের মহিলাদের জন্য কাজ করতেন। তা༺ঁর কাজ ছিল, ওই মহিলারা বাইরে কোথাও গেলে তাদের সঙ্গে যাওয়া। কোনও জনবহুল এলাকায় বা সৌজন্য সাক্ষাতে হিকোবুকিনি থাকতেই হত। তবে কোনও কাজ করে দিতে প্রয়োজন পড়ত না তাঁর। প্রয়োজন পড়ত শুধু একটি কাজের দায় স্বীকারের জন্য। সেই কাজটি হল বাতকর্ম।
আরও পড়ুন - বাড়ির উঠোনে পড়ে শুকিয়ে নষ্ট হয়, এসব পাত🍨া বি♓দেশে বিকোচ্ছে হাজার টাকায়! কেন জানেন?
কী বলতে হত?
সম্ভ্রান্ত মহিলারা পথেঘাটে ♒বা তেমনই সম্ভ্রান্ত কারও সঙ্গে কথা বলার সময় আচমকাই নিমনচাপ অনুভব করতেন মাঝে মাঝে। ওই নিম্নচাপ অবশ্য বায়ুর। সেই বায়ু যদি কখনও সশব্দে বেরোত, তখন ভারী অপ্রস্তুতে পড়তে হত। সঙ্গে একজন অধস্তন কর্মচারী থাকলে আর এই সমস্যা হয় না। তার উপর নিশ্চিন্ত দোষ চাপিয়ে দেওয়া যায়। তবে জাপানে এই বিষয়টি রীতিমতো চাকরিতে পরিনত হয়েছিল। সম্ভ্রান্ত মহিলারা এই ধরনের অধস্তন কর্মচারী হিসেবে মহিলাদের ভাড়া করতেন। কোথাও গেলে তাদের সঙ্গে নিয়ে যেতেন। সেখানে তাদের এই অপ্রস্তুতে ফেলার মতো ঘটনার দায় নিতে হত। মনিব বাতকর্ম করলে সঙ্গে সঙ্গে তার দায় নিতে হত। বলতে হত, দুঃখিত, কিছু মনে করবেন না। ভুল করে করে ফেলেছি।’
আরও পড়ুন - ভ্যাটিকান ❀সিটি নয়, বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশট🌱ি আদতে এই দুর্গ! কীভাবে গড়ে উঠল জানেন?
আরও পড়ুন - এই বছর কততম বꦛুদ্ধ পূর্ণিমা? কেনই বা পূর্ণিমার দিন পালিত হয় বুদ্ধজয়ন্তী, জানেন এই কাহিনি?
কেউ কেউ ধরে ফেলতেন সত্যিটা
দুর্গন্ধে সকলে নাক চাপা দিলেও এই নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগত বলে অনুমান ওই বিষয়ে ওয়াকিবহাল ব্যক্তিদের। আদতে পরিচারিকা বাতকর্ম করেছে নাকি তার মনিব, তা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ করত। কিন্তু প্রশ্ন করাটা অভদ্রতা। তাই ব্য💜াপারটা ধামাচাপা পড়ে যেত শেষমেশ। তবে যেহেতু সম্ভ্রান্ত ধনী পরিবারের মহ🍒িলাদের হয়ে কাজ, তাই মাইনে বেশ ভালোই মিলত।