কত না রহস্য এবং অজানা কথা ছড়িয়ে রয়েছে গোটা দেশের আনাচে কানাচে। ম🌃িশর এমনই এক দেশ। ঐতিহাসিক, পুরাতাত্ত্বিক থেকে সাহিত্যিক— কেউই মিশর থেকে খালি হাতে ফেরেন না। দেশের প্রতিটি কোনায় তাঁরা খুঁজে পান এমন কোনও না কোনও তথ্য— যা তাঁদের সমৃদ্ধ করে। কিন্তু এত সন্ধান, এত জানার পরেও শেষ হয় না অজানা কথার, শেষ হয় না রহস্যের। যেমন মিশরের ইতিহাসের এক অদ্ভুত অধ্যায় হল রানি নেফারতিতি-কে নিয়ে🦋।
অদ্ভুত অধ্যায় কারণ, এই অধ্যায়ের বেশির ভাগ পাতাই ছে🧔ঁড়া! যার সন্ধান সারা ক্ষণই করে চলেছেন, মিশর-বিদরা, ঐতিহাসিকরা এবং পুরাতাত্ত্বিকরা। আজও নেফারতিতি সম্পর্ক স্পষ্ট করে কিছুই জানা যায়নি। কে ছিলেন তিনি? রয়েছে নানা মত। কিন্তু সেই রহ𒐪স্যেরই পাকাপোক্ত জবাব নাকি এবার পাওয়া যাবে।
হালে মিশর-বিদ ডক্টর জাহি হাবাস সংবাদমাধ্🎃যমকে জানিয়েছিলেন, এমন ডিএনএ-র খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, যা বলে দিতে পারে নেফারতিতির সমাধি কোনটি। আর সেটি যদি চিহ্নিত করা যায়, তাহলে অর্ধেক কাজই শেষ। তাহলেই বোঝা যাবে, কে ছিলেন এই মহিলা। তবে এ সম্পর্কে পুরোটাই বলা হবে অক্টোবরে। তেমনই জানানো হয়েছে।
হাবাস জানিয়েছেন, অক্টোবরে আনখসেনামুন (তুতেনখামুনের স্ত্রী) এবং তাঁর মায়ের সমাধির কথা আমরা জানাবো। একটি শিশুর সমাধিও পাওয়া গিয়েছে। সেই শিশুটি যদি তুতেনখামুনের 💃ভাই হয় এবং আখনাতেনের ছেলে 🍒হয়, তাহলেই সমাধান হয়ে যাবে নেফারতিতি রহস্যের।’
নেফারতিতিকে নিয়ে মিশরের ইতিহাসে নানা ধরনের তত্ত্ব রয়েছে। কী সেই সব তত্ত্ব? একে একে 𒅌দেখে নেওয়া যাক।
- নেফারতিতি ছিলেন আখনাতেনের তুতো বোন।
- নেফারতিতি ছিলেন বিদেশি কোনও রাজকুমারি।
- তিনি ছিলেন ফারাও তুতেনখামুনের মা।
- তিনি ছিলেন ফারাও তুতেনখামুনের পিসি।
- আখনাতেন বোনকে নেফারতিতিকে বিয়ে করেন, সেই হিসাবে তিনি তুতেনখামুনের মাও বটে, পিসিও বটে।
শুধু এ সবই নয়, এমন তত্ত্বও আছে, ফারাও আখনꦜাতেনের শাসনের শেষ দিকে তাঁর পাশাপাশি আরও এক ফারাও মিশর শাসন করতেন। পরবর্তীকা🐲লে আখনাতেন মারা যাওয়ার পরে তিনিই হন দেশের ফারাও। কে ছিলেন তিনি? অনেকে মনে করেন, তিনিই নেফারতিতি।
কেন ইতিহাসে নেফারতিতিকে খুঁজে পাওয়া যায় না?
অনেকেই মনে করেন, নেফারতিতির মৃত্যুর পরে তাঁর শত্রুরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে, ꦡরানির সব চিহ্ন মুছে ফেলার। তাই হারিয়ে গিয়েছে ইতিহাসের ও💟ই কয়েকটি পাতা। ডিএনএ-র সূত্র ধরে সেই সব অদৃশ্য ছেঁড়া পাতা এখন নাকি এসে গিয়েছে হাতের মুঠোর এক দম কাছাকাছি। আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা সেগুলি পড়ে ফেলার।