১৪৪৬ বছর আগে হজরত মহম্মদ ও তাঁর অনুগামীরা মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশে রওনা হতে বাধ্য হন। ওই দিনটি ছিল মহরমের প্রথম দিন। তাঁকে মক্কায় ইসলামের বার্তা প্রচার করায় বাধা দেওয়া হয়। মহরমের দশম দিনটি অশুরা হিসেবে পালিত হয়, এদিন ইমাম হুসেনের মৃত্যুর শোক পালন করা হয়। ইমাম হুসেন ছিলেন হজরত মহম্মদের পৌত্র এবং হজরৎ আলির পুত্র। ৬৮০ খ্রিষ্টপূর্বে ♛কারবালার যুদ্ধে প্রাণ ত্যাগ করেন।
ইসলা🎃মের অন্যান্য উৎসব থেকে মহরমের পৃথক, কারণ এই মাসটি হল শোকজ্ঞাপন ও প্রার্থনার মাস। এ সময় কোনও উৎসব পালিত হয় না। শিয়াদের জন্য এই মাসটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। শিয়ারা এদিন একটি শৃঙ্খল তৈরি করে নিজেকে ক্ষতবিক্ষত করতে থাকেন। একে ততবির বা কামা জানি বলা হয়।
(আরও পড়ুন: কবে পালন করা হবে ম⭕হরম? এই ಞদিনের ইতিহাস আর গুরুত্ব জেনে নিন)
কারবালা প্রান্তরে হোসেইন ইবনে আলি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের শাহাদত ব🍎রণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পালন করা হয় শোকের উৎসব আশুরা। প্রায় ১🎐৪০০ বছর আগে হজরত মহম্মদের নাতি ইমাম হোসেইন ইবনে আলি আচমকাই একটি অসম সংঘর্ষের সম্মুখীন হন। তবে এই ঘটনার অনেক আগে থেকেই পালন করা হত মহরম।
মহরম আরবি ক্যালেন্ডারের⛄ প্রথম মাস। সেই মাসের দশম দিনে পালন করা হয় আশুরা। ইসলাম ধর্ম বিশেষজ্ঞদের কথায়, এই মাসটিতে নবী ও রসুলদের জীবনে নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে প্রাচীনকালে।
(আরও পড়ুন: শিয়াদের মতোই সুন্নিরাও পালন 𒅌করেন মহরম, তবে রীতি একেবারেই আলাদা, কী কী করেন তাঁর🔯া)
এছাড়াও, নবী মহম্মদের মতে, এই দিনই পৃথিবী সৃষ্টি হয়। পৃথিবীর সৃষ্টি ও বিনাশ সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ পা𓃲ওয়া যায়। প্রচলিত বিশ্বাস এই যে, আশুরার দিনেই পৃথিবী ধ্বংস হবে। তাই প্রতি বছরই গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয় আশুরা।
প্রসঙ্গত, কারবালার মর্মান্ত🐭িক যুদ্ধ পরবর্তীকালে আশুরার দিনটিকে অন্য মাত্রা দেয়। এই দিন মোট ৭২ জনের মুণ্ডচ্ছেদ করা হয় কারবালার প্রান্তরে। রেহাই পাননি হোসেইন ইবনে আলি শ🎀িশুপুত্র।
কারবালার ঘটনা আশুরার দিনটিকে শোকে ভারাক্রান্ত কর🏅ে তোলে। শিয়া মতাবলম্বীরা এই ঘটনাটিকে বেশি গুরুত্ব দেন। তবে সুন্নি মতা𓄧বলম্বীদের কাছেও এই ঘটনাটি গুরুত্ব বহন করে। তাঁরাও এই দিনটি গুরুত্বের সঙ্গে পালন করেন।