কোভিডের আতভ্ক এখনও পুরোপুরি কাটেনি। কোভিড কোথা থেকে এসেছিল, কীভাবে মানুষ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হ💟ল— তা নিয়েও এখনও যথেষ্ট দোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে নতুন আতঙ্কের কথা বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO। এবার উদ্বেগের নাম বার্ড ফ্লু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, বার্ড ফ্লুতে এবার মানুষ সংক্রমিত হতে পারে। তাই এখন থেকেই সাবধান হতে হবে।
গত ২৫ বছর ধরে নানা সময়ে বার্ড ফ্লু অসুখটি বিজ্ঞানী এবং চিক💦িৎসকদের চিন্তায় ফেলেছে। যদিও এই অসুখে এখনও পর্যন্ত মানুষের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা খুব একটা দেখেননি বিজ্ঞানীরা। যদিও এই অসুখে আক্রান্ত পাখির মাংস খেতে বারণ করা হত। কিন্তু এটি যে মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে,♛ তেমন কোনও কথা কখনও বলা হয়নি।
কিন্তু বার্ড ফ্লুর জন্য দায়ী ভাইরাস H5N1 এবার নিজের গড়নে বদল আনছে। আর সেই🐭 কারণেই উদ্বেগে চিকিৎ🔜সকরা। এর আগের যাবতীয় উদাহরণেই দেখা যেত, বার্ড ফ্লুর ভাইরাস অর্থাৎ H5N1-এ শুধুমাত্র পাখিই আক্রান্ত হয়। কিন্তু হালে দেখা গিয়েছে, এটিতে স্তন্যপায়ীরাও আক্রান্ত হচ্ছে। সম্প্রিত বেশ কিছু শেয়ালের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, যারা আক্রান্ত পাখি থেকে এই অসুখটি পেয়েছে। এবং তাদের অবস্থা বেশ সংকটজনক।
এ🎀 থেকেই বিজ্ঞানীদের অনুমান, এই ভাইরাস নিজের গড়ন দ্রুত বদলাচ্ছে। অর্থাৎ এটির মিউটেশন হচ্ছে। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস🙈্থার তরফে এ বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যেভাবে এই ভাইরাসের গতিপ্রকৃতি বদলাচ্ছে, তাতে আগামী দিনে এটি খুব সহজেই মানুষের শরীরেও এসে পড়তে পারে। তার জন্য আগে থেকে প্রস্তুত থাকা দরকার। সচেতনতাও বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
আগামী দিনে এই ভাইরাসের থেকে বাঁচার জন্য টিকারও প্রয়োজন হতে পারে বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞই। বিভিন্ন ভাইরাসের এভাবে নিজেদের গড়ন বদলানো বা মিউটেশনের ফলে যে নানা ধরনের সমস্যার মাত্রা অনেক বেড়ে যেতে পারে, এমন আশঙ্কার কথাও বলছেন অনেকে। ইতিমধ্যেই ইঁদুরের উপর এই ভাইরাস প্রয়োগ করে বিজ্ঞানীরা তাঁদের সিদ্ধান্তে পৌঁছোতে পেরেছেন। দেখা গিয়েছে, নতুন বার্ড ফ্লু তাদের সংক্রমিত করতে পারছে। আর সেখান থেকেই উঠে এসেছে টꦅিকা তৈরির প্রশ্নটি। আগামী দিনে যে সেটিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে, সে বিষয়ে এখন আর কারও সন্দেহ নেই।