আপনি যদি মনে করেন যে আপনার সন্তানের পড়ালেখার প্রতি মোটেই আগ্রহ নেই, তার যে কোনো বিষয়ের পাঠ মনে রাখতে খুব অসুবিধা হয়, যার কারণে সে সবসময় ক্লাসে তার সহপাঠীদের থেকে পিছিয়ে থাকে, তাহলে আপনার তার প্রতি মনোযোগ দিতে হবে প্রয়োজন হ্যাঁ, প্রায়শই শিশুদের ক♛িছু বদ অভ্যাস তাদের জন্য এই ধরনের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যার কারণে শিশুদের মন দুর্বল হতে থাকে। আসুন জেনে নিই শিশুদের এমনই কিছু বদ অভ্যাসের কথা, যা মস্তিষ্কে খারাপ প্রভাব ফেলে।
সোশ্যাল মিডিয়ার অত্যধিক ব্যবহার
আজকাল, এমনকি ছোট শিশুরাও তাদের বেশিরভাগ সময় সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যয় করে। সেটা অনলাইন ক্লাস হোক বা মোবাইলে গেম খেলার উন্মাদনা। শিশুরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকে এবং YouTube-এ ভিডিও দেখতে থাকে। যার কারণে অনেক সময় শিশুদের চোখ দুর্বল হয়ে যায় এবং মাথাব্যথার সমস্যাও দেখা দেয়♈। যার কারণে তাদের মনোযোগ বিঘ্নিত হয় এবং তাদের পড়ালেখা ভালো লাগে না।
অপর্যাপ্ত ঘুম
ক🌠োনো কারণে আপনার শিশুর ঘুম কম হলে তার পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে অসুবিধা হতে পারে। যখন এটি ঘটে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুরা প্রকৃতির দ্বারা রাগান্বিত এবং ক্লান্ত বোধ করতে শুরু করে। যার ক♒ারণে তারা পড়াশোনায় মনোযোগী হয় না এবং তারা ক্লাসে তাদের সহপাঠীদের থেকে পিছিয়ে পড়ে।
শারীরিক কার্যকলাপের অভাব
শিশুদের বিকাশের জন্য সুস্থ স্মৃতিশক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুর্বল স্মৃতিশক্তি শিশুদের পড়াশোনা সহ সকল ক্ষেত্রে শেখার এবং বিকাশের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। ভালো স্মৃতিশক্তি একটি শিশুকে সফল হতে এবং যেকোনো প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু আজকাল বেশিরভাগ শিশুই শারীরিক কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকে। এমন অবস্থায় শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য তাকে বাড়ির বাইরে খেলতে বা পার্কে দৌড়াতে বলুন। 🦹এতে করে তাদের মস্তিষ্কের কোষগুলো ভালোভাবে বিকশিত হয়। মনে রাখবেন, একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা শিশুর স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
জাঙ্ক ফুড আসক্তি
আজকাল ছোট বাচ্চারা জাঙ্ক ফুড খেতে পছন্দ করে। কিন্তু অনেক গবেষক দেখতে পেয়েছেন যে হিপ্পোক্যাম্পাস হল মস্তিষ্কের স্মৃতিকেন্দ্র এবং যে লোকেরা প্রচুর জাঙ্ক ফুড খায় তারা স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মতো সাধারণ স্মৃতি পরীক্ষায় তেমন ভাল কাজ করে না। এমন পরিস্থিতিতে আপনার শিশু যদি খুব বেশি জাঙ্ক ফুড খায়, তাহলে তার পড়াশো🅘নায় সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে।