আদানির বিরুদ্ধে ঘুষের মামলার খবর সামনে আসতেই এশিয়ার বিভিন্ন বাজারে আদানির ডলার বন্ডের দাম পড়ে গিয়েছে। আদানি পোর্ট অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোনের যে বন্ডের ম্যাচিউরিটি ২০২৭ সালের অগস্টে, সেটার দাম কমেছে ডলারে পাঁচ সেন্টেরও বেশি। এদিকে আদানি ইলেকট্রিসিটি মুম্বইয়ের যে বন্ডের ম্যাচিউরিটি ২০৩০ সালের ফেব্রুয়ারি, সেটির দাম কমেছে প্রায় ৮ সেন্ট। এদিকে আদানি ট্রান্সমিশনের বন্ডের দাম পাঁচ সেন্টেরও বেশি কমে ৮০ সেন্টে গিয়ে ঠেকেছে বলে দাবি করা হয় রিপোর্টে। ২০২৩ সালে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট পরবর্তী ধাক্কার পর এবারই এতটা দাম কমল আদানির বন্ডের। (আরও পড়ুন: ঘুষ নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প🐬্রেজেন্টেশন, এক্সেল শিট পেশ করা হয়♛েছিল আদানিকে?)
আরও পড়ুন: USA-তে মামলায় অভিযুক্ত আদানি, এরই মাঝে গৌতমের বি🧸রুদ্ধে বিস্ফোরক FBI সহপরিচালক
এদিকে ভারতীয় শেয়ার বাজারেও আদানির শেয়ারের দাম পড়েছে আজ। আজ আদানি পাওয়ারের শেয়ারের দাম একটা সময় প্রায় ৮৫.৪০ টাকা কিংবা ১৬.৪৭ শতাংশ পড়ে গিয়েছিল। এর ফলে আদানি পাওয়ারের শেয়ারের দাম গিয়ে ঠেকে ৪৩৭.৭০ টাকায়। এদিকে আদানি পোর্ট অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেডের শেয়ারের দাম আজ এক ধাক্কায় ১৯৩.৪৫ টাকা বা ১৫ শতাংশ নেমে যায়। এর জেরে আদানি পোর্টের শেয়ারের দাম গিয়ে ঠেকে ১০৯৬.২০ টাকায়। আদানি এন্টপ্রাইজ লিমিটেডের শেয়ারের দাম আজ এক ধাক্কায় ৫৬৪.৩৫ টাকা কিংবা ২০ শতাংশ কমে যায় আজ। এর জেরে আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারের দাম গিয়ে ঠেকে ২২৫৭.১৫ টাকায়। আদানি এনার্জি সলিউশন্সের শেয়ারের দাম আজ বাজার খুলতেই ২০ শতাংশ বা ১৭৪.৩০ টাকা কমে গিয়েছিল। এর জেরে এই সংস্থার শেয়ারের দাম নেমে আসে ৬৯৭.২৫ টাকায়। এছাড়া আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের শেয়ারের দাম আজ প্রায় ১৯ শতাংশ বা ২৬৪ টাকা কমে গিয়েছিল। এর জেরে সংস্থার শেয়ারের দাম গিয়ে ঠেকে ১১৪৬.৮০ টাকায়। (আরও পড়ুন: কানাডায় নিজ্𝔉জর খুনের ছকের বিষয়ে আগে থেকেই জানতেন মোদী? অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলল ভারত)
উল্লেখ্য, ভারতের সরকারি আধিকারিকদের ২৫ কোটি ডলারের ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া অভিযোগ উঠেছে আদানির বিরুদ্ধে। এই আবহে মার্কিন মুলুকে একটি মামলায় ভাইপো সহ অভিযুক্ত হয়েছেন ধনকুবের গৌতম আদানি। এই আবহে গৌতন আদানি এবং তাঁর ভাইপো সহ বেশ কয়েকজন ভারতীয় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধেꦫ গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছে মার্কিন প্রশাসন। রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন বিনিয়োগকারীদের প্রতারণা এবং কর্মকর্তা🦄দের ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ এনে আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ধনকুবের গৌতম আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে মার্কিন বিচার বিভাগ এবং মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। জানা গিয়েছে এই মামলায় গৌতম আদানির পাশাপাশি সাগর আদানি, আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের নির্বাহী এবং আজিউর পাওয়ার গ্লোবাল লিমিটেডের নির্বাহী সিরিল কাবানেসকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভারতীয় আধিকারিকদের ঘুষের প্রস্তাব দিয়ে কয়েক বিলিয়🌟ন ডলারের চুক্তি করেছিল তারা। এরই মাধ্যমে আমেরিকা এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করে তারা টাকা তুলেছিল বাজার থেকে। দাবি করা হয়েছে, ২০২১ সালের জুলাই এবং ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ভারতীয় সরকারি আধিকারিকদের ঘুষ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আদানি গোষ্ঠী। ভারতীয় কর্মকর্তাদের ২৫ কোটির ডলারেরও বেশি ঘুষের প্রস্তাব দিয়ে সৌরশক্তি সরবরাহের লাভজনক চুক্তি পেয়েছিল আদানি। এই চুক্তিগুলো থেকে ২০ বছরে ২০০ কোটি ডলারের বেশি মুনাফা অর্জনের আশা করা হয়েছে।