প্রাচীন যুগে রাজা-মহারাজাদের🍎 পরিবারে হাতি পোষার চল ছিল। ভ্রমণের উদ্দেশ্যে হোক বা যুদ্ধের ক্ষেত্রে, হাতিকে রাখা হতো সর্বাগ্রে। এমনকি সার্কাস বা সিনেমার পর্দাতেও বহুবার হাতিকে ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
𒈔আজ যুগের সাথে সাথে পাল্টেছে সবকিছুই। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এখন হাতিরা রয়েছে বিপদসংকটে। অবাধে বনভূমি কেটে ফেলার ফলে জঙ্গল ছেড়ে গ্রামে ঢুকে পড়ে হাতি, নষ্ট হয় একাধিক সম্পদ।
(আরও পড়ুন: 💟শুধু ধূমপানের কারণে নয়, এই সমস্ত কারণেও হতে পারে ফুসফুসের ক্যানসার)
🍨হাতিদের অস্তিত্ব সংকট বাঁচানোর জন্যই তাই প্রতি বছর একটি বিশেষ দিন ধার্য করা হয় এই প্রাণীটির উদ্দেশ্যে। প্রতিবছর ১২ আগস্ট বিশ্ব হাতি দিবস পালন করা হয়। এই দিনটিতে হাতি সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো হয়, বাস্তুতন্ত্রে হাতির গুরুত্ব কতখানি তা বোঝানোর পাশাপাশি হাতি যেন কোনও অস্তিত্ব সংকটে না পড়ে, সেইদিকেও নজর দেওয়া হয়।
🦩আজ বিশ্ব হাতি দিবস উপলক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। X হ্যান্ডেলে টুইট করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘এই দিনটি হাতি রক্ষার উদ্দেশ্যে প্রচেষ্টার একটি উপলক্ষ। হাতিরা যাতে একটি নিশ্চিন্ত এবং প্রাকৃতিকভাবে অনুকূল আবাসস্থল পায়, সেই চেষ্টাই অবিরত করা হচ্ছে। ভারতের সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের সঙ্গে এই প্রাণীটি বিশেষভাবে জড়িত। আপনাদের আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, গত কয়েক বছরে হাতিদের অস্তিত্ব সংকট থেকে আমরা বাঁচাতে পেরেছি এবং উল্লেখযোগ্য ভাবে হাতির সংখ্যা বেড়েছে ভারতে।’
(আরও পড়ুন: 🦹সামনেই স্বাধীনতা দিবস, স্কুলে দিনটি নিয়ে কিছু বলতে হবে? রইল সুন্দর একটা ভাষণ)
প্রসঙ্গত, সারা বিশ্বজুড়েಞ যেভাবে বনভূমি উজার হয়ে যাচ্ছে, তার ফলে অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে হাতি সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী। এই বিশেষ দিনগুলিতে সকলের মধ্যে বন্য প্রাণীর অস্তিত্ব রক্ষার সচেতনতা যদি বাড়িয়ে দেওয়া যায়, তাহলে আগামী দিনে এই সমস্ত প্রাণীরা অস্তিত্ব সংকটে পড়বে না। বন্যপ্রাণী যদি সুরক্ষিত থাকে তাহলে পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্র সঠিক থাকবে এবং আগামী দিনে মানব সমাজও থাকবে সুরক্ষিত।