𓆉 বাঙালি মাত্রেই মাছপ্রেমী। সারা পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক বাঙালি হলেই মাছের প্রতি আলাদা আগ্রহ থাকবেই। বিশেষ করে আমিষভোজী বাঙালি হলে তো মাছ দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় অপরিহার্য। বিভিন্ন রকমের মাছের নানা ধরনের রান্না হয়। সেই সব রান্নার স্বাদ অতুলনীয়। কেবল মাত্র সুস্বাদু খাদ্যবস্তু হিসাবে নয়। মাছের গুণাগুণও অনেক।একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে,স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের পুষ্টি বৃদ্ধিতে মাছের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে,তৈলাক্ত মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।
কিন্তু মাছসপ্তাহে ক’দিন খাওয়া স্বাস্থ্যকর?এই বিষয়ে মাছপ্রেমীদের সচেতন হওয়া উচিত। দেখা যাক গবেষণা কী বলছে? (আরও পড়ুন: ♛মাছ খেতে ভালোবাসেন? তবে সব মাছ আপনার জন্য ভালো নয়, জেনে নিন কোন মাছ এড়িয়ে যাবেন)
আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের পুষ্টিবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন,মস্তিষ্ক-সহ শরীরের বিভিন্ন কোষের প্রাচীর গঠন করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। গবেষকরা বলছেন,যাঁরা সপ্তাহে তিন দিন বা এর বেশি মাছ খান, তাঁদের মস্তিষ্কের নিউরন কোষ অনেক বেশি সচল। (আরও পড়ুন: 🧸এত কাজের চাপ, জিনিসের আগুন দাম, আইনি ঝামেলা— আপনার সব সংকটের জন্য দায়ী এই মাছটি)
꧋পুষ্টিবিদদের মতে,মস্তিষ্ক ছাড়াও হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে এবং এই দুই প্রধান অঙ্গের রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে অত্যন্ত উপযোগী মাছে। হার্টের অসুখ ও মস্তিষ্কের রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয় মাছের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। সপ্তাহে কমপক্ষে তিন দিন ৭০ থেকে ৭৫ গ্রাম করে মাছ খেতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা।
🐠শিশু থেকে বয়স্ক সবাই নিশ্চিন্তে মাছ খেতে পারেন। মাছে যথেষ্ট প্রোটিনের সঙ্গে থাকে ভিটামিন A,ভিটামিন D,ফসফরাস,ম্যাগনেশিয়াম,সেলেনিয়াম ও আয়োডিন। মাছ হল খনিজ পদার্থ আর ভিটামিনের খনি। অনেকের ছোট মাছ খাওয়ার ঝোঁক আছে। ছোট মাছ বা শিং-মাগুর মাছ বেশি পুষ্টিকর এই ধারণার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।