আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন হয়ে গেল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিতা ব্যানার্জী মেমোরিয়াল হলে। মুখ্য আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, কবি শ্রীজাত বন্📖দ্যোপাধ্যায়।
বাংলা ভাষার রক্তাক্ত ইতিহাসের কথা আমাদের স্মরণ𝄹ে থাকলেও, মননে কতটা স্থায়ী তা বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে প্রশ্নের মুখোমুখি। পড়ুয়াদের অভাবে, পরিকাঠামোগত দৈন্যের কারণে বাংলা মাধ্যমের স্কুলগুলি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক। বাংলা ভাষায় কথা বলার ঝোঁকও কমে আসছে খোদ বাংলা ভাষী মানুষদের। এমতাবস্থায়, বাংলা ভাষা কি তবে অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে?
আলোচনাসভায় কবি জানালেন, সকলেরই🐲 মাতৃভাষা তাদের কাছে সমান গুরুত্ব রাখে। তাই বাংলা ভাষার ওপর জোর না দিয়ে আমাদের সার্বিকভাবে মাতৃভাষার প্রকাশমাধ্যমটির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা উচিত। একজন নৃত্যশিল্পী যদি নিজেকে নাচের মাধ্যমে প্রকাশ করেন, তাঁর কাছে নাচই তার মাতৃভꦿাষা।
তিনি আরও বলেন, 'আত্মম্ভরিতা নয় আত্মীয়তা'-র মধ্যে দিয়েই আমাদের যে কোন সংস্কৃতিকে আপন করে নেওয়াই কাম্য। বাংলা ভাষা এ কাজ আগেও করেছে এবং এই উদারতার কারণেই সমৃদ্ধ হয়েছে আ💮জকের বাংলা☂ ভাষা।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী ধাপে, জাপানের টোকিও ইউনিভার্সিটি অফ ফরেন স্টাডিজ থেকে আগত পড়ুয়ারা প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে স্মরণে রেখে 'আমি বাংলায় গান গাই' - সঙ্গীতটি পরিবেশন করলেন। এছাড়া নিজেদের মাতৃভাষাকেও শ্রদ্ধা🍃 জানিয়ে গান গাইতে তাঁরা ভোলেন নি।
বাংলা ভাষার টানে সুদূর জাপান থেকে তাঁরা চলে এসেছেন কলকাতার যাদবপুর বিশ্♚ববিদ্যালয়ে।
টোকিও ইউনিভার্সিটি অফ ফরেন স্টাডিজের একজন ছাত্রী নাৎসুকি জানালেন, বাংলা ভা🍒ষা ও সংস্কৃতির মাধুর্যের জন্যেই প্রতিবছর ত🗹ারা ফিরে আসেন কলকাতায়।
‘কলকাতার ঐতিহ্যপূর্ণ জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি ভ্রমণ আমার কাছে মনে রাখার মত একটি স্মৃতি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে আরও বেশি জ꧃ানতে আগ্রহী।’
জাপানের গান ও সংস্কৃতি ইদানিংকালে ভা🅰রಞতে তথা সমগ্র বিশ্বে যুববয়সীদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করেছে। গানের মধ্যে দিয়েই যেন পৃথিবীর সকল মানুষের সঙ্গে তাদের বন্ধন আরও দৃঢ় হয়ে ওঠে এমনটাই তাঁর ইচ্ছা, জানালেন নাৎসুকি।