দুর্বল দৃষ্টি শক্তি এখন একটি সাধারণ সমস্যা। চার থেকে ছয় বছরের বাচ্চাদেরও এখন চশমা পরতে হচ্ছে। বার্ধক্যের আগেই দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ছে অনেকের। এই সমস্যাকে কোনও মতোই উপেক্ষা করা যায় না।খাবার-দাবারের উপর চোখের সুস্থতা নির্ভর করে। দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ভিটামিন এ, সি, ই, ওমেগা তিন ফ্যাটি অ্যাসিড, জিঙ্ক, লিউটিনের অভাবে চোখের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এই পুষ্টিকর উপাদানগুলি অন্তর্ভূক্ত করতে পারলে সমস্যার সমাধান সম্ভব।কীভাবে করবেন ভাবছেন? গরমকালে ঠান্ডা ঠান্ডা শরবত মন চাঙ্গা করবে, পাশাপাশি আপনার চোখের সুস্বাস্থ্যও বজায় রাখবে। অকল্যান্ড আই নামক জার্নালে প্রকাশিত এই পানীয় চোখের স্বাস্থ্যকে বুস্ট করে।১. অ্যালোভেরা জুস- ভিটামিন এ, বি, সি ও ই'তে ভরপুর অ্যালোভেরা। এগুলি ফ্রির্যাডিক্যাল হিসেবে কাজ করে। অ্যালোভেরা আবার সেলেনিয়ম, জিঙ্ক ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজেরও উৎকৃষ্ট উৎস, যা দৃষ্টিশক্তির পক্ষে ভালো।২. কমলালেবুর রস- ভিটামিন সি'তে সমৃদ্ধ হওয়ায় কমলালেবুও চোখের পক্ষে ভালো। এটি ছানির আশঙ্কা কম করে। পাশাপাশি চোখের রক্তবাহিকাগুলিকে মজবুত করে। কমলালেবুতে ফলেট উপস্থিত। এই ফলেট ভ্রুণের দৃষ্টির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ কারণে গর্ভবতী মহিলাদের সকালবেলা টাটকা কমলালেবুর রস পান করা উচিত।৩. ডাবের জল- অসাধারণ প্রাকৃতিক পানীয় এটি। এতে ভিটামিন, খনিজ, অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং ইলেক্ট্রোলাইট থাকে। চোখের ছানি, গ্লুকোমা এবং চোখের অন্য সমস্যার সমাধানের জন্য নিয়মিত ডাবের জল পান করা উচিত।৪. গাজর ও বিটের রস-গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন থাকে। এটি ভিটামিন এ-তে পরিবর্তিত হয়। চোখের স্বাস্থ্যের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবার বিটে লিউটিন ও জ্যাক্সেন্থিন থাকে, যা ম্যাকিউলার ও রেটিনালকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই এই দুই সবজির রস পান করা চোখের সুস্বাস্থ্যে সহায়ক হবে।৫. লেবু জল- লেবুর জলে প্রচুর পরিমাণে লিউসিন ও জ্যাক্সেন্থিন থাকে। ম্যাকিউলার ডিজেনারেশান ও চোখের ছানির বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে এই দুটি উপাদান। এ ছাড়াও লেবু জলের শরবত ভিটামিন সি'র একটি উল্লেখযোগ্য উৎস। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চোখকেও সুস্থ রাখে।