আজকের বিশ্বে, বেশিরভাগই সবসময় প্রযুক্তির সঙ্গে সংযুক্ত। ব্যস্ততার জন্য, প্রকৃতির মধ্যে কিছুটা মুক্ত সময় কাটানো আজ কঠিন। যদিও এ💎মন অনেক অ্যাপ রয়েছে যা আপনার স্বাস্থ্যকে ট্র্যাক করে, জানিয়ে দেয় আমরা ভেতর থেকে কেমন আছি। তবে প্রকৃতির চারপাশে থাকার যে সুবিধা, তা আর কিছুতেই নেই।
সেরা স্বাস্থ্য সুবিধার জন্য কতটা সময় বাইরে থাকা উচিত
শরীরকে সুস্থ-সবল রাখতে, ঠিক কতটা꧑ সময় থাকতে হবে বাইরে, এই কথা মাথায় আসলেই ২০-৫-৩ নিয়মটির গন্ডিতে এসে পড়বেন। বিজ্ঞান-সমর্থিত এই সহজ, নির্দেশিকা যে কারও স্বাস্থ্যের উন্নতি করꦺতে পারে। প্রকৃতিতে আপনার সর্বাধিক সময় কাটাতে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন: (Kitchen Hacks: লঙ্কা ফ্রিজে রাখলেও পচে যাচ্ছে? খুব সহজেই তাไজা রাখতে পারেন এগুলি)
কী এই ২০-৫-৩ নিয়ম
২০-৫-৩ নিয়মটি নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির একজন স্নায়ুবিজ্ঞান🧸ী ডঃ হপম্যানের তৈরি। সর্বাধিক স্বাস্থ্য সুবিধার জন্য, আপনার রুটিনে প্রকৃতিকেও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এই ক্ষেত্রেই আপনাকে সাহায্য করার জন্য এটি একটি♍ সহজ নির্দেশিকা।
- স্থানীয় পার্ক, কমিউনিটি গার্ডেন বা এমনকি রাস্তাকে ঘিরে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এমন পরিবেশেও কিছুটা সময় কাটাতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত তিনবার ২০ মিনিট সময় কাটান। রাষ্ট্রীয় উদ্যান বা
- প্রকৃতি সংরক্ষণের মতো প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতি মাসে কম করে ৫ ঘণ্টা ব্যয় করুন।
- প্রত্যন্ত অঞ্চলে ক্যাম্পিং বা হাইকিং করতে পারেন। প্রতি বছর অন্তত তিন দিন এটা করা জরুরি।
সবথেকে আশ্চর্যজনক বিষয় হল, বাড়ির বাইরে মাত্র ২০ মিনিট থাকলেই স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল কমাতে পারে। স্টাডি বলে, বিশেষত শহরে বসবাসকারী মানুষের জন্য এটি প্র🐽য়োজনীয়। ফিনল্যান্ডে ২০০৫ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে শহুরে বাসিন্দারা প্রতি মাসে কমপক্ষে পাঁচ ঘণ্টা প্রকৃতি মাঝে কাটালে সুখী বোধ করেন। দ্য নেচার ফিক্স অ্যান্ড হার্টব্রেক-এর লেখক ফ্লোরেন্স উইলিয়ামস, এ প্রসঙ্গে বলেছেন যে ২০-৫-৩ নিয়মের মতো একটি সাধারণ নির্দেশিকা অনেকের জন্য সহায়ক হতে পারে।
আরও পড়ুন: (♎Self Care Tips: সকালে এই কয়েক𒉰 মিনিট নিজের জন্য বার করুন, অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে)
২০-৫-৩ নিয়মের উপকারিতা
প্রকৃতিতে সময় কাটানো, চাপ কমাতে, মানসিক স্বচ্ছতা উন্নত করতে এবং সামগ্রিক সুস🦩্থতা বাড়াতে উল্লেখযোগ্য। এমনকি দিনে মাত্র🐽 ২০ মিনিট এমনটা করলেই, জীবনযাত্রায় একটি বড় পার্থক্য লক্ষ্য করা যেতে পারে।
- দিনে ২০ মিনিট: আপনার স্থানীয় পার্ক বা বাগানে একটি দ্রুত হাঁটুন। এতে আপনার মন পুনরায় শান্তির জায়গায় ফিরে আসবে। কারণ সবুজ স্থানের মধ্য দিয়ে হাঁটলে চাপ কমে, মেজাজ এবং ফোকাস উন্নত করে।
- মাসে ৫ ঘণ্টা: পার্ক বা গ্রামীণ এলাকায় সময় কাটানো, আপনাকে শহরের জীবন থেকে বিরতি দেয়। এটি দীর্ঘস্থায়ী চাপ বা মনের ভেতরে চাপা কষ্ট দূর করার জন্য বিশেষভাবে সহায়ক।
- বছরে ৩ দিন: ডিজিটাল বিশ্ব থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে এবং হাইকিং বা ক্যাম্পিংয়ের মতো আউটডোর ক্রিয়াকলাপ উপভোগ করার জন্য, সময় বের করা দরকার। এতে আপনার মস্তিষ্ক শান্তি পাবে। মনও ভালো থাকবে।
বলা বাহুল্য, মানুষ গ্যাজেটের বাইরে বেরিয়ে, প্রকৃতিতে যত বেশি সম🐷য় ব্যয় করবে, মানুষের স্বাস্থ্য এꦅবং সুস্থতার হার তত বেশি উন্নত হবে।