মানব দেহে ভিটামিন-ডি-এর মূল উৎস সূর্যের আলো। বর্তমানে আমাদের কাজের ব্যস্ততা ও দ্রুত গতিতে চলতে থাকা জীবনযাপন সূর্যের আলো থেকে আমাদের দূর করে দিয়েছে। বিশেষ করে বর্তমানে শিশুদের মধ্যে ভিটামিন ডি-এর অভাব সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায়। আমাদের ত্বক সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এলে তৈরি করে ভিটামিন ডি। কোভিডের সময় লকডাউনের কারণে শিশুদের মধ্যে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন যে, কোভিড মহামারীর সময় ছোটরা তাদের বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছে ঘরের মধ্যে বসে থেকে ফলে তারা খু🎉ব বেশি সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসেনি। কারণবশত ছোটদের মধ্যে এই ঘাটতি লক্ষ্য করা যা💯চ্ছে সবচেয়ে বেশি।
(আরও পড়ুন: হাঁচির সময়ে মুখ চেপে ধরলে ক🔯ী হয়? জানলে, অভ্যাস বদলাতে বাধ্য হবেন)
ছোটদের মধ্যে ভিটামিন ডি-এর অভাব রয়েছে কিনা সেটি বোঝার কিছু উপসর্গ রয়েছে। শিশুদের পেশীতে মাঝে মাঝে টান পড়লে বা শিশু মাঝে মাঝেই অসুস্থ হ𒅌য়ে পড়লে বুঝতে হবে যে, শিশুর মধ্যে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি রয়েছে। অক্টোবর ২০২২ সালে প্রকাশিত নেচারের একটি প্রতিবেদন অনুসারে ২০১৯ সালে ভারতে ১৫১.৯ মিলিয়ন🦂 শিশুর ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। ভিটামিন ডি-এর অভাবে শিশুদের কঙ্কালের বিকৃতি, ভঙ্গুর হাড় এবং অকাল অস্টিওপরোসিস লক্ষ্য করা যায়।
(আরও পড়ুন: এমন গেঞ্জি, যা দিয়ে দেবে হার্ট ♐অ্যাটাকের আগাম খবর! বাঁচতে পারে বহ𒈔ু মানুষের প্রাণ)
শিশুদের এই ভিটামিন ডি-এর অভাব পূরণ করার জন্য সবচেয়ে সহজ এবং উপকারী উপায় হল সূর্যালোক। শিশুদের প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট সূর্যালোকের সংস্পর্শে রাখলে তাদের ভিটামিন ডি-এর অভাব খুব দ্রুত পূরণ হতে পারে। এছা✃ড়া সঠিক💙 খাদ্যাভ্যাস ও শিশুদের এই ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করতে পারে। প্রথমেই শিশুদের মশলাদার এবং তৈলাক্ত খাবার দেওয়া থেকে এড়িয়ে চলুন। শিশুদের খাদ্য তালিকায় উচ্চ পুষ্টিকর খাবার যেমন মাছ, লিভার অয়েল, ডিম, দুধ, মাখন, পনির, মাশরুম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করুন।
শিশুদের এই ভিটামিন ডি-এর অভাব দূর করার জন্য শিশুদের স্ক্রিন টাইম কমানোর দিকে নজর দিন এবং শিশুরা যাতে প্রতিদিন কমপক্ষে এক বা দুই ঘন্টা বাইরে খেলাধুলা করে সেদিকেও নজর রাখুন। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চা, এবং খেলাধুলার মধ্যে থাকলে শিশুদের ভিটামিন ডি-এর সমস্যা খুব সহজেই নির্ম📖ূল হতে পারে।