আবারও বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর। বললেন, ‘যাঁরা আসল দেশভক্ত, তাঁরা হেমন্ত কারকারেকে দেশভক্ত বলেন না।’ যে হেমন্ত কারকারে ২০০৮ সালের মুম্বই হামলায় নিহত হয়েছিলেন। যিনি ২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণের তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। শুক্রবার সংবাদসংস্থা এএআইয়ের টুইট করা একটি ভিডিয়োয় (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’) ভোপালের সাংসদকে বলতে শোনা যায়, '১৯৭৫ সালে এক জরুরি অবস্থা কার্যকর হয়েছিল। আর একবার জরুরি অবস্থা কার্যকর হয়েছিল ২০০৮ সালে। যেদিন ২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণের মামলায় সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরকে পাকড়াও করা হয়েছিল। আমি নিজেই সেই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলাম, দেখেছিলাম, শুনেছিলামও।' সঙ্গে যোগ করেন, ‘যাঁরা আসল দেশভক্ত, তাঁরা হেমন্ত কারকারেকে দেশভক্ত বলেন না।’ বিজেপি সাংসদ অভিযোগ করেন, তিনি যে আর্চাযের কাছে অষ্টম শ্রেণিতে পড়েছিলেন, তাঁর উপর হেমন্ত কারকারে অত্যাচার চালিয়েছিলেন। ১৯৮২ ব্যাচের আইপিএস অফিসার কারকারে মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাস-দমন শাখার প্রধান ছিলেন। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলায় বিজয় সালসকার এবং অশোক কামতের পাশাপাশি কারকারের মৃত্যু হয়। পরের বছর ২৬ জানুয়ারি তাঁকে মরণোত্তর অশোকচক্র সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল। কারকারে ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে মালেগাঁও একটি মসজিদের বাইরে বিস্ফোরণের তদন্তে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যে মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর। যিনি অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছিলেন। পরে ২০১৬ সালে তাঁকে ক্নিনচিট দিয়েছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। জেলের মধ্যে অত্যাচারের অভিযোগে আগেও কারকারের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। ২০১৯ সালে এএনআইয়ের টুইট করা একটি ভিডিয়োয় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, 'আমি হেমন্ত কারকারকে ফোন করেছিলাম। আমাীর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ না থাকলে ছেড়ে দিতে বলেছিলাম। উনি বলেছিলেন, উনি প্রমাণ নিয়ে আসবেন। কিন্তু আমায় ছাড়বেন না। আমি বলেছিলাম, আপনি ধ্বংস হয়ে যাবেন।'