ধাক্কা মারা হয়েছে ছাত্রীদের। ছিল না কোনও মহিলা পুলিশ। বেধড়ক মারধর করা হয়েছে পড়ুয়াদের। লাইব্রেরি, ক্যান্টিন-সহ বিভিন্ন বিভাগে নির্বিচারে ভাঙচুꦇর চালানো হয়েছে। দিল্লি পুলিশের এমনই অভিযোগ তুললেন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, 'আমাদের 'সঙ্গে অপরাধীদের মতো আচরণ করা হয়েছে।'
'গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নিউ ফ্রেন্ডস কলোনিতে ব্যাপক অশান্তি ছড়ায়। তারপর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে পুলিশ পড়ুয়াদের বেধড🤡়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। নাম গোপন রাখার শর্ত এক ছাত্রী বলেন, 'হাত তুলে আমাদের ক্যাম্পাস ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আমরা বিক্ষোভের জায়গায় ছিলামও না। ক্যাম্পাসের ভিতরেই ছিলাম। পুলিশ আমাদের সঙ্গে অপরাধীদের মতো আচরণ করেছে।'
ক্যাম্পাসের ভিতরের মসজিদে যাঁরা প্রার্থনা করছিলেন, তাঁদেরও ছাড়া হয়নি বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের। মহম্মদ কামিল নামে এক পড়ুয়া বলেন, 'ক্যাম্পাসের ভিতরের মসজিদে ঢুকে পড়ে পুলিশ। যাঁরা প্রার্থনা করছিলেন, তাঁদের হেনস্থা করা হয়। ওরা আমাদের লাইব্রেরি, ক্যান্টিন-সহ কত বিভাগ যে গুঁড়িয়ে দিয়েছে, তা জানি না।' ♎পড়ুয়াদের দাবি, ক্যান্টিনের লাইব্রেরির জানালা ভেঙেচুরে দেয় পুলিশ। সেই সময় লাইব্রেরিতে ৫০-৬০ জন পড়ুয়া ছিলেন।
পড়ুয়াদের অভিযোগ, আহত পড়ুয়াদের শুশ্রূষারও সুযোগ দেয়নি পুলিশ। এক পড়ুয়া বলেন, 'নিজেদের বা🍨ঁচাতে বেসমেন্টে লুকিয়ে পড়েন কয়েকজন পড়ুয়া। ওটা একটা ভয়ংকর মুহূর্ত ছিল। আতঙ্কে আমরা বন্ধু ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপ🌞ক্ষকে জরুরি বার্তা বা এসওএস পাঠাই। আলোও নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল।'
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অশান্তির ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দুটি এফআইআর দায়ের করল দিল্লি পুলিশ। একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি থানায়। অপরটি দায়ের হয়েছে জামিয়া নগর থানায়। দিল্লি পুলিশꦅের এক আধিকারিক জানান, অশান্তি, বেআইꦺনি জমায়েত, জনগণের সম্পত্তি ক্ষতি-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারীকে তাঁর দায়িত্ব বাধা-সহ বিভিন্ন ধারা রয়েছে জামিয়া নগর থানার এফআইআরে।