কোভিড পরিস্থিতিতে বিপুল জনসমাগম এড়িয়ে ঘরে বসেই উৎসব পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আবেদন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। সেই সঙ্গে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আর্জিও তিনি জানিয়েছেন। দোড়গোড়ায় দুর্গাপুজো, নবরাত্রি ও দশেরা। নভেম্বরে রয়েছে দীপাবলি ও ছটপুজো। কোভিড অতিমারী পরিস্থিতিতে উৎসবমুখর দেশের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। সেই কথা মাথায় রেখেই রবিবার নিজের সাপ্তাহিক সোশ্যাল মিডিয়া বৈঠক ‘সানডে সংবাদ’-এ দেশবাসীকে সতর্ক করেন হর্ষ বর্ধন। তিনি মনে করিয়ে দেন, এই মুহূর্তে কোভিডের চেয়ে বড় ধর্ম কিছু নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর ধর্ম হল জীবাণু বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে অযাচিত মৃত্যু রোধ করা। মহাভারতের উপাখ্যান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভগবদ্গীতায় যোদ্ধাদের যুদ্ধই কর্তব্য বলা হয়েছে। এই কারণে নিজেকে ধর্মপ্রাণ প্রমাণিত করতে ভিড় করা অর্থহীন। আমরা যদি তা করি, তাহলে আরও বড় সমস্যা ডেকে আনব। নিজের লক্ষ্যের প্রতি অবিচল থাকতে বলেছেন শ্রী কৃষ্ণ। আমাদের লক্ষ্য হল ভাইরাস খতম করে মানব সভ্যতাকে রক্ষা করা। এটাই আমাদের ধর্ম। এটাই বিশ্বের ধর্ম।’হর্ষ বর্ধন আরও বলেন, ‘অসাধারণ পরিস্থিতিতে অসাধারণ প্রতিক্রিয়াই কাম্য। বিশ্বের কোনও ধর্ম বা ঈশ্বর বলেননি মহা সমারোহে উৎসব পালন করার কথা। কোথাও বলা নেই যে শুধুমাত্র পুজোমণ্ডপ ও মন্দির বা মসজিদে গিয়েই শুধুমাত্র পুজো ও প্রার্থনা করা যায়।’দেশবাসীকে তিনি বলেন, অতিমারী রোধ করতে আগামী দুই মাস এবং সমগ্র শীতকাল সচেতনতা গড়ে তুলে সংক্রমণের বিরুদ্ধে জন আন্দোলনে শামিল হোন। এ ভাবেই কোভিড অতিমারীকে দূরে সরিয়ে রাখা সম্ভব বলে দাবি করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৭৪,৩৮৩ সংক্রমণ এবং ৯১৮টি মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। রবিবার ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক।ভারতে বর্তমানে একাধিক কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।