পুরসভা থেকে শুর💜ু করে বিধানসভা - প্রতিবার ভোট এলেই শিরোনামে উঠে আসে উত্তর-পূর্ব দিল্লির নালা-নর্দমা। কিন্তু ভোট মিটে গেলেই তা আবার হারিয়ে যায়। এবার অবশ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে খবর উঠে এসেছে সেই ড্রেন।
আরও পড়ুন : উত্তরপ্রদেশ💖 থেকে গ্রেফতার দিল্লি সংঘর্ষে আট রাউন্ড গুলি চালানো যুবক
উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হিংসার পর থেকে একাধিক মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে ড্রেনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। সর্বপ্রথম ড্রেন থেকে উদ্ধার হয় আইবি অফিসার অঙ্কিত শর্মার মৃতদেহ। গত রবিবার ও সোমবার ড্রেনের বিভিন্ন প্রান্তে আরও পাঁচটি দেহ ভেসে ♊উঠেছে। হাসপাতাল ও জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, গত পা💜ঁচদিনে ড্রেন থেকে ১১টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
আরও পড়ুন : দিল্লির হিংসা নিয়ে নিন্দা꧙, ইরানের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ বিদেশ মন্ত্রকের
কয়েকটি মৃতদেহ শনাক𝔉্ত করাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়🍒ে ডিএনএ টেস্ট করছে পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে দিল্লি হিংসার জেরে সবার মৃত্যু হয়েছিল কিনা, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিশও।
আরও পড়ুন : অঙ্কিত শ🔯র্মার পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা কেজরির
এখন বেশি খবরে থাকলেও দিল্লির এই ড্রেনগুলি অবশ্য বরাবরই নাগরিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত এলাকা চিনতে নতুনদের ভরসা এই ড্রেন। তবে দিল্লির ড্রেনের বিন্যাস নিয়ে সংশয়ে থা🐓কেন খোদ স্থানীয় বাসিন্দারা। যমুনা বিহারের হামজা আহমেদ বলেন, 'একটি কারণ হতে পারে, ড্রেনগুলি দেখতে প্রায় একরকম। এলাকার নাম অনুসারে এই ড্রেনগুলিকে চিহ্নিত করেন অধিকাংশ বাসিন্দা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে একটি এলাকা দিয়ে একাধিক ড্রেন প্রবাহিত হয়েছে। এটা হতেই পারে যে গোকুলপুরী বা ভজনপুরা ড্রেন বলার সময় আমরা দু'জনে আলাদা ড্রেন বলছি।'
আরও পড়ুন : দিল্লি হিংসা নিয়ে অশান্ত সংসদ, হাতাহাতি লোকসভায়
ড্রেন কার অধীনে পড়ে, তা নিয়েও ধন্দ তৈরি রয়েছে। 🌠কিছু ড্রেন দিল্লি সরকারের সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ দফতরের অধীনে পড়ে। কিছু আবার পূর্🍸ব দিল্লি পুরনিগমের এলাকায় পড়ে।
আরও পড়ুন : দিল্লি ꦛহিংসা রাষ্ট্রের মদতে পরিকল্পিত গণহত্যা, গুজরাত দাঙ্গার জের 🐻টেনে দাবি মমতা
দিল্লি সেচ দফতরের এক আধিকারিক জানান, উত্ত💃র-পূর্ব দিল্ল💞ির প্রধান ড্রেনটি উৎপত্তি উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের পূর্ব যমুনা খাল থেকে। তা লোনি দিয়ে দিল্লিতে ঢুকে উত্তর-পূর্ব দিল্লির বিস্তীর্ণ অংশ দিয়ে বয়ে যায়। প্রবাহ পথে আরও চারটি গুরুত্বপূর্ণ ড্রেন আছে। যেগুলি করওয়াল নগর, চাঁদবাগ, গোকুলপুরী, ভজনপুরা, জাফরাবাদ, মুস্তাফাবাদ, ব্রিজপুরীর মতো হিংসা-কবলিত এলাকা দিয়ে বয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন : দিল্লিতে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার ৪০
স্থানীয়দের বক্তব্য, নির্বাচনের সময় ড্রেনগুলি নিয়ে আলোচনা হয়। ভোট💯 মিটে গেলেই তা থিতিয়ে পড়ে। এক বাসিন্দার কথায়, 'আমরা এখন সব আশা ছেড়ে দিয়েছি।' গোকুলপুরীর এক বাসিন্দা দীপক শর্মা বলেন, 'স্বাস্থ্য তো বটেই, ড্রেনগুলির হাইজিনো গুরুত্বপূর্ণ। তবে এখন ড্রেনগুলি খবরে আছে। আমাদের আশা, সরকার ও পুর সংস্থাগুলি পর্যাপ্ত নজর দেবে।'