ভারতে সম্প্রতি বেড়ে চলেছে পার্সেল স্ক্যাম। এটিও হল এক ধরনের সাইবার প্রতারণা। কখনও পুরস্কারের নাম করে আবার কখনও পার্সেলে অপরাধমূল🍨ক কোনও জিনিস রয়েছে এমন দাবি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা। আর এবার প্রতারণার শিকার হলেন এক বৃদ্ধা। নারকোটি⭕ক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিক পরিচয় দিয়ে প্রতারকরা ওই বৃদ্ধার কাছ থেকে হাতিয়ে নিল ২ কোটি টাকা। এই ঘটনায় সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ৬৯ বছর বয়সি ওই বৃদ্ধা। ঘটনাটি ঘটেছে পুনেতে।
আরও পড়ুন: OTP বলে🐷ননি,ফোনে কথা বলতে গিয়ে অভিনেতার স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ৫ লক্ষ টাকা
কীভাবে হল প্রতারণা?
জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ী পরিবারের ওই বৃদ্ধা কোরেগাঁও পার্কের বাসিন্দা। গত এপ্রিল মাসে আচমকা তিনি একটি ফোন পেয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি নিজেকে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। তিনি বৃদ্ধার বিরুদ্ধে মাদক পাচারের অভিযোগ এনেছিলেন। বৃদ্ধাকে জানানো হয়েছিল, গত ১৮ এপ্রিল ইরানগামী একটি𒅌 পার্সেল বাজেয়াপ্ত করেছে মুম্বইয়ের শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা। সেই পার্সেলে ১২০ স্ট্রিপ এলএসডি, পাঁচটি পাসপোর্ট, পোশাক এবং অপরাধমূলক কিছু সামগ্রী পাওয়া গিয়েছে। আর সেই পার্সেলে নাম রয়েছে ওই বৃদ্ধার। তারা বৃদ্ধাকে আরও জানায়, এই ঘটনায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং ত🌊াকে গ্রেফতার করা হবে। এমন কথা শুনে বৃদ্ধা ভয় পেয়ে পেয়ে গিয়েছিলেন।
এরপর গ্রেফতারি এড়াতে ওই বৃদ্ধার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চেয়েছিল প্রতারকরা। এমনকী তাঁর বেশ কয়েকটি ব্যဣাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, আধার কার্ডের তথ্য জেনে নেয় প্রতারকরা। তবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বৃদ্ধা কোনওরকম আলোচনা করেননি। পুলিশ জানিয়েছে, দু সপ্তাহের মধ্যে ওই বৃদ্ধা প্রায় ১২ বার টাকা স্থানান্তর করেছেন প্রতারকদের কাছে। সবমিলিয়ে মোট ২ কোটি ৮ লক্ষ টাকা স্থানান্তর করেছিলেন।
এরপর হঠাৎ একদিন তিনি সংবাদপত্রে একটি পার্সেল জালিয়াতির খবর দেখতে পান। তাতে সন্দেহ হয় বৃদ্ধার। এরপরই তিনি বুঝতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ঘটনায় আর দেরি না করে বৃদ্ধা সাইবার ক্রাইম থানায💦় অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে ওই বৃদ্ধার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাত্র ২৪ হাজার টাকা পড়ে রয়েছে। পুলিশ জানতে পেরেছে পার্সেল কেলেঙ্কারির ক্ষেত্রে মূলত প্রতারকরা দুবাই থেকে এই কাজ চালাচ্ছে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ৮৮ টি পার্স💙েল জালিয়াতির মামলা সামনে এসেছে। সে ক্ষেত্রে প্রতারকরা ১৮ কোটি টাকা হাতিয়েছে। এর মধ্যে কেউ ৫০ হাজার টাকা আবার কেউ ১ কোটিরও বেশি টাকা হারিয়েছেন।