🐈 রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ( আরবিআই), এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য বেসরকারি ঋণদাতাদের হুমকি ইমেল পাঠানোর অভিযোগে বুধবার গুজরাট থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। ই-মেলে বলা হয়েছে, আরবিআই অফিস, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক ও আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাঙ্গণে বোমা রাখা হবে। আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের পদত্যাগ দাবি করেছেন প্রেরক।
ಞহুমকিমূলক ইমেল পাঠানোর উদ্দেশ্য খুঁজে বের করতে ক্রাইম ব্রাঞ্চ অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আরবিআই এবং অনেক বেসরকারি ঋণদাতা মঙ্গলবার ইমেল পেয়েছে। বোমা হামলার হুমকি দিয়েছিল এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি। ই-মেইলে প্রেরক মুম্বই জুড়ে ১১টি অফিসে বোমা রাখার হুমকি দিয়েছিলেন। প্রেরক শক্তিকান্ত দাস এবং নির্মলা সীতারমনের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। ‘আমরা মুম্বইয়ের বিভিন্ন স্থানে ১১ টি বোমা স্থাপন করেছি। আরবিআই এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলি ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি করেছে। এই কেলেঙ্কারিতে আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, কয়েকজন শীর্ষ ব্যাঙ্কিং কর্মকর্তা এবং ভারতের কয়েকজন মন্ত্রী জড়িত।’
ꦑমুম্বইয়ের ১১টি স্থানে মোট ১১টি বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দুপুর দেড়টার দিকে বোমাগুলো বিস্ফোরিত হতে পারে বলে সতর্ক বার্তাও জারি করা হয়। আরবিআই গভর্নর এবং অর্থমন্ত্রীর অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করার পাশাপাশি প্রেরক এই কেলেঙ্কারি প্রকাশ করে একটি প্রেস বিবৃতি প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন, ‘আমরা আরবিআই গভর্নর এবং অর্থমন্ত্রী উভয়কেই অবিলম্বে তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করার এবং কেলেঙ্কারির সম্পূর্ণ প্রকাশ করে প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করার দাবি জানাচ্ছি।’
🏅বোমা হামলার হুমকির মেলটি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উদ্বিগ্ন করে তোলে, যার ফলে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়। কিন্তু পুলিশ কিছুই পায়নি। পুলিশ মেলের প্রেরকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে। এবার তিনজন গ্রেফতার হয়েছে। এর নেপথ্যে বড় কোনও হাত আছে কিনা, পুলিশের তদন্তে সেটা উঠে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।