ফেব্রুয়ারি মাসেই আসবে ৪টি রাফাল ফাইটার জেট। সবকটিই ভারতের জন্য কাস্টমাইজ করেছেন ফরাসি নির্মাতারা। অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমান যে বায়ুসেনার শক্তি আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেবে, তা বলাই বাহুল্য।এর মধ্যে ৩টি রাফাল আগামী ১-২ ফেব্রুয়ারি নাগাদ ভারতে আসবে। দক্ষিণ ফ্রান্সের মার্সেইয়ের উত্তর-পশ্চিমে ইস্ট্রেস-লে টিউব বিমান ঘাঁটি থেকে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। এক টানা উড়বে বিমানগুলি। মাঝে মিড-এয়ার রিফুয়েলিংও করবে। তারপরে ভারতে এসে পৌঁছাবে। আবহাওয়া পরিস্থিতির উপর সময় কিছুটা নির্ভর করছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত এয়ার ফোর্সের এয়ারবাস মাল্টি-রোল ট্রান্সপোর্ট ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে মাঝ আকাশে জ্বালানি ভরে নেবে রাফালগুলি।মোট ৩৬ টি রাফাল কিনেছে ভারত। এখনও পর্যন্ত মোট ৩২টি রাফাল এসেছে। আরও ৩টি ফেব্রুয়ারির শুরুতে আসবে। শেষ ফাইটারটিতে রয়েছে নতুন পেইন্ট স্কিম। রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার পরামর্শ মতো কিছু এনহ্যান্সমেন্টও। সেটি আগামী এপ্রিলে পৌঁছাবে।তবে এটাই ছিল ভারতের জন্য বরাদ্দ প্রথম রাফাল। তাহলে সবার শেষে সেটা আসছে কেন? আসলে প্রথম ফাইটারটি বায়ুসেনার কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ফ্রান্স সফরের সময় ইস্ট্রেস বিমান ঘাঁটিতে এই প্রথম রাফালটির পরিদর্শন করেছিলেন। ওই বিমানটিতেই এতদিন হাত পাকিয়েছেন বায়ুসেনার বিমানচালক, কর্মী, প্রযুক্তিবিদ, ইঞ্জিনিয়াররা। যদিও আইএএফ রাফালে ভারতের নির্দিষ্ট কী কী এনহ্যান্সমেন্ট হয়েছে জানায়নি। সূত্রের খবর, এগুলিতে দীর্ঘ পাল্লার এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র, কম ব্যান্ড ফ্রিকোয়েন্সির জ্যামার, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, উন্নত রেডিও অল্টিমিটার, রাডার সতর্কতা রিসিভার আছে। উচ্চ উচ্চতায় ইঞ্জিন স্টার্ট আপ, সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার, গ্রাউন্ড মুভিং টার্গেট ইন্ডিকেটর এবং ট্র্যাকিং, মিসাইল অ্যাপ্রোচ ওয়ার্নিং সিস্টেম এবং খুব হাই ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জ ডিকো থাকছে এগুলিতে।যুদ্ধবিমানগুলি আসার পর আইএএফ চুক্তি অনুসারে সকল সরঞ্জাম যাচাই করবে। পাশাপাশি ভারতীয় পরিস্থিতিতে বিমানগুলির পরীক্ষা করবে। এর পরে, পশ্চিম সেক্টরের আম্বালায় এবং পূর্ব সেক্টরে হাশিমারা বিমান ঘাঁটিতে আগের ৩২টি বিমানের রেট্রোফিটিংয়ের কাজ শুরু হবে। আপগ্রেডেশন আম্বালা বিমান ঘাঁটিতে করা হবে। এদিকে ভারতের সঙ্গে পাল্লা দিতে পাকিস্তানি বিমান বাহিনী ২৫টি চিনা J-10 মাল্টি-রোল ফাইটার নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে PLA এয়ার ফোর্স ফাইটার J-20, হোটানে মোতায়েন করেছে। লাসা, কাশগর এবং নিংচি বিমান ঘাঁটি তিব্বত এবং সিঙ্কিয়াংয়ে শক্তি প্রদর্শন করছে PLA।