মার্কিন ড্রোন হানায় নিহত ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডের কম্যান্ডার কাসেম সোলেইমানির শেষযাত্রায় পদপিষ্ট হয়ে মারা গেলেন ৩২ জন। জখম হয়েছেন আরও ৪৮ জন। মহ্গলবার এই তথ্য জানিয়েচে তেহরানের টিভি চ্যানেল।ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ঘটনার পরে মাটিতে বেশ কয়েক জনকে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের বুকে ম্যাসাজ করে ও জল পান করাতে দেখা গিয়েছে স্থানীয়দের। কিছু নিশ্চল দেহের মুখ জ্যাকেট ও স্কার্ফে ঢাকা ছিল।মঙ্গলবার সোলেইমানির শেষকৃত্যে যোগ দিতে বাগদাদ, কোম, মাশাদ ও আহবাজ শহর থেকে বিশাল জনতা এসে পৌঁছয় প্রয়াত নেতার আদি শহর তেহরানের কেরমান এলাকায় আজাদি স্কোয়্যারে। জানা গিয়েছে, শেষযাত্রায় প্রায় ১০ লাখ জনসমাবেশ হয়েছিল। আচমকা সেখানে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে অনেকে ছুটতে শুরু করেন। তাঁদের পায়ের নীচে চাপা পড়ে থেঁতলে যায় বেশ কিছু মানুষের দেহ। পরে পরিস্থিতি স্বাভিক হলে ৩৫টি দেহ উদ্ধার করা হয়। আহত ৪৮ জনকে চিকিত্সার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।কেরম্যান স্কোয়্যারে ভক্তদের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ইরানের জাতীয় পতাকায় ঢাকা কফিনে রাখা হয় সোলেইমানির দেহ। দ্বিতীয় একটি কফিনে রাখা হয় সোলেইমানির ঘনিষ্ঠতম সহচর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হোসেন পোরজাফারির দেহ। গত শুক্রবার মার্কিন ড্রোন হানায় কম্যান্ডারের সঙ্গে তিনিও নিহত হয়েছেন।ভক্তরা বুক চাপড়ে চোখের জল ফেলতে ফেলতে বিলাপ করেন, ‘অন্যায় ভাবে তাঁকে শত্রুরা খুন করেছে।’এ দিন রেভলিউশনারি গার্ডের কম্যান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইনি সালামি বলেন, ‘মৃত্যুর পরে শহিদ কাসেম সোলেইমানি এখন আরও বেশি শক্তিশালী।’