ভয়াবহ হিংসার ঘটনা ঘটল পাপুয়া নিউগিনিতে। দুই উপজাতীয় গোষ্ঠীর লড়াইয়ে নিহত হলেন কমপক্ষে ৬৪ জন। এছাড়াও আহত 💜হয়েছেন অনেকেই। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে পাপুয়া নিউগিনির উত্তর হাইল্যান্ডের এনগা প্রদেশে। এক গোষ্ঠীর ওপর অতর্কিত হামলা চালায় আরেক গোষ্ঠী। তাতেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ইরানে হিজাব বিরোধী প্রতিবাদে ৩ সপ্তাহ🉐ে মৃত ১০৮, দাবি IHR-এর
অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্ট🔯িং কর্পোরেশন (এবিসি) সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলিবর্ষণের ফলে তাদের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রবিবার এক গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীর উপর আচমকা হামলা চালায়। তখনই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের মতে, এদিনের হত্যাকাণ্ড দুই উপজাতি গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ড। সিকিন এবং কাকিন উপজাতির মধ্যে সংঘর্ষের ফলে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ🥂 ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু ভিডিয়ো ফুটেজ ও ছবি উদ্ধার করেছে। উল্লেখ্য, পাপুয়া নিউগিনির ওই অঞ্চলের উপজাতিদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী লড়াই চলে আসছে বহু শতাব্দী ধরে। তবে তাদের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্রের আমদানি হওয়ার পর থেকে আরও প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে দুই পক্ষের সংঘর্ষ।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপজাতিটি কয়েকশো উপজাতির বসবাসস্থল। এদের মধ্যে অনেকেই দুর্গম ভূখণ্ডে বাস করে। ৮০০ টিরও বেশি ൩ভাষায় কথা বলা হয় এই এলাকায়। এর আগে জানুয়ারিতেও এখানে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। তখন ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, এদিনের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রসঙ্গত, পাপুয়া নিউগিনিকে উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে ধরা হয়। পাপুয়া নিউগিনির সরকার হিংসা নিয়ন্ত্রণে একাধিক পদক্ষেপ করেছে। কিন্তু সামান্য সাফল্য পেয়েছে।
এ দিনের ঘটনার পর এলাকায় প্রায় ১০০ জন সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। এদিকে, এ ঘটনার পর জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি তিনি অনেক পুলিশ অফিসারকে বরখাস্তও করেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত𒅌্রী অ্যান্থনি আলবানিজ পাপুয়া নিউগিনির এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, সেখানে সব রকমের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে পুলিশ অফিসারদের প্রশিক্ষণ এবং পাপুয়া নিউ গিনির নিরাপত্তার জন্য সাহায্য করা হচ্ছে।